"মেনকার ছলাকলায় শিবেরও ভেঙে যায় ধ্যান,
পুরুষ জাতি,হয়তো তাই,নারী বলতেই অজ্ঞান,
তারা সদাই বীর্যক্ষ্য় করতে প্রস্তুত থাকে হাসিমুখে,
নারীরা অনায়াসেই তাদের তুলে নিতে পারে বুকে,
বিশেষত সে নারী যদি তথাকথিত আকর্ষণীয়া হয়,
সহজেই যে কোন পুরুষকেই সে করতে পারে জয়"
--পরিপার্শ্ব থেকে এমনই ধারণা জন্মেছিল বুঝি তোর?
বয়সটা সেদিন আঠার বা আরও তিন মাস বড় জোর,
বছর তিনেক আগে পরিচয় হয়েছিল এক বিয়ের আসরে,
ব্যবহারে ইম্প্রেস্ড হয়েই হয়তো বন্ধুত্ব পাতালি ঝট করে
আমি তখন ছাপোষা চাকুরিজীবী,বয়সটা ফর্টি প্লাস
তুই তখন বছর পনেরর চুড়িদার পরা নবম ক্লাস
এতদিন শুধু ফোন-বন্ধু ছিলি, হঠাৎই দিলি জরুরি ডাক
তোর ঘরে যেতেই খুলে বললি সব করলি না রাখঢাক
--"এক বিদেশিনী নিজের ভার্জিনিটি তুলেছিল অভিনব নিলামে,
একজন তার সতীচ্ছদ ছিন্ন করার ছাড়পত্র কিনেছিল সর্বোচ্চ দামে,*
আজ আমি আমার সেই মহার্ঘ কুমারীত্ব দিতে চাই তোমায়
প্রাপ্তবয়ষ্কা আমি আইনের চোখে,ধরা পড়লেও নেই কোন ভয়"
আমার চোখে হাজার প্রশ্ন দেখে বললি আরো
-"আমি যদি মেটাই আমার চাহিদা,ক্ষতি তো নেই কারো,
পেটে খিদে মুখে লাজ,ওসব ন্যাকাপনায় আমি নেই
কেউ দেবে না মুখে তুলে,বুঝে নিতে হবে নিজেকেই
তোমার মতো বিবাহিত পুরুষই নিরাপদ আমার কাছে
নব্য যুবকের মই কেড়ে নিই যদি তুলে দিয়ে উঁচু গাছে
হয় অ্যাসিড ছুঁড়ে মুখ পোড়াবে নইলে হৈ চৈ বাধাবে
অথবা তিলকে তাল করে বান্ধব-মহলে দাম বাড়াবে"
আর তুমি বিয়ের জন্যে চাপ দেবে না,আত্মসম্মানবোধও আছে
কাকপক্ষীকেও টের পেতে দেবে না সংসার ভেঙে যায় পাছে।"


--"হায় রে আল্ট্রা মডার্ন মেয়ে, শুধু এটুকুই বলি তোকে
বহু কাল ঠকার পরে "বিয়ে" চালু করেছে সভ্য লোকে,
তুইও নোস মেনকা-রম্ভা , আমিও নই মহাদেব শিব,
আজো কিছু পুরুষ আছে যাদের লক লক করে না জিভ।"


[*চিহ্নিত ঘটনাটি বছর দুয়েক আগে সংবাদপত্রে প্রকাশিত।]
বিঃদ্রঃ- কবিকে খুঁজো না  তার  কবিতায়
কবিতায় উঠে আসে চারিদিকে যা ঘটে যায়