কি নামে তাকে ডাকবো?মাঝি হাড়াম না মোড়ল?
এই বিতর্কে গিয়ে কি বা লাভ!
মোদ্দা কথা হলো, তারই নির্দেশে ক্ষত-বিক্ষত হল
এক অসহায় নারী।মধ্য যুগে অথবা তারও আগে
এমন বর্বরতার নজির আছে কি? থাক বা না থাক,
এই একবিংশ শতাব্দীর সভ্য সমাজে খবর-ওয়ালাদের
পোয়া বারো।মশলাদার খবরের পাঠকের অভাব হয় না
আজকাল। চায়ের সাথে মুচমুচে খবর চিবিয়ে সকালটা
কেটে যায় বেশ,তারপর খোশ মেজাজে দৈনন্দিন কাজে
ডুবে যাওয়া, সহকর্মীর সাথে রসালো আলোচনা,বিরোধী
দলের সমর্থক হলে মিনিট পাঁচেক সরকারের মুণ্ডপাত,
তারপর পরবর্তী আরও একটা খবরের অপেক্ষা...


তবু এবারের খবরটা বেশ একটু ভিন্ন স্বাদের,মানতেই
হবে সেটা!রাতের শহরে একা বেরিয়ে নয় অথবা দাগাবাজ
প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিতে গিয়েও নয়,নিজেরই গ্রামের
মোড়ল আর জ্ঞাতি দাদা,কাকা,জ্যাঠা ভাইদের চোখের
সামনে তাদেরই প্রত্যক্ষ মদতে ঘটে গেল পশ্বেতর জঘন্যতা।
ভিন সমাজের কাউকে ভালবাসার দাম চোকাতে হলো
মোড়লের বাছাই করা বারো জন উন্মত্ত ষণ্ডের ক্লেদাক্ত
বীর্য নিজের কুমারী-শরীরে ধারণ করে!
তারা কেউ বা তার ঠাকুরদার বয়সী কেউ বা কাকা-জ্যাঠা
অথবা ছোট ভাইয়ের বয়সী।


ক্ষণিকের তোলপাড় উঠেছে বটে দেশজুড়ে, সে তো
মাঝে মাঝেই ওঠে, থিতিয়েও যায় যথা নিয়মে,  
ঘুমিয়ে পড়ে পাহারাদার , চিলের ধারালো ঠোঁটে
শোভা পায় তারই ভরসায় বেরিয়ে আসা শাবক,
আমরা এগিয়ে চলি যে যার পথ ধরে...