আকাশ আর মাটির মাঝখানে কোন এক কুলগাছ,
যার সবকটি ডালে  ফুটে আছে তারার মতো কুল,
নিশ্চেষ্ট দাঁড়িয়ে সেগুলির নাগাল মেলে না কিছুতেই।
লাফিয়ে লাফিয়ে বেশ কিছু কুল আয়ত্বে এলো বটে
তবে সেগুলির সবকটি নিরাপদ ছিল না খাদ্য হিসাবে,
তবু কাঁটায় ক্ষত-বিক্ষত হাত ফেলে দিতে চাইলো না
একটিও, যদিও মুখে দিয়ে ওয়াক-থু করে ফেলে দিতে
হলো কয়েকটা,সেগুলির ভিতরে যে পোকা ছিল
বাইরে থেকে দেখে বোঝা যায়নি একেবারেই।


কয়েকটা ছিল মিষ্টি,এত মিষ্টি যে গালটাই মজে গেল,
আর মজে যাওয়া গালে ধূমপান ভাল লাগে না একটুও,
তারচেয়ে বরং নোনতাই ভাল,  নোনতার পরে চা,
তারপরে ধূমপান, একেবারে জমে ক্ষীর যাকে বলে!


পাতার ফাঁক দিয়ে একটা কাঠবিল্লী অনেকক্ষণ ধরে
দেখছিল লোকটির কাণ্ডকারখানা,আর ভাবছিল লোকটি
চলে গেলেই কোন এক ডালে বাসা বাঁধবে সে। অথচ
সে জানেই না ডালগুলো কেটে ফেলা হবে কয়েকদিন
পরেই,


ডাল না কাটলে পরের বছর গজাবে কি নতুন ডাল?
নতুন ডালেই যে কুল ফলে মনের মতো...