ধর্মীয় মন্ত্রে বশীভূত করে ওরা চেয়েছিল
বুকের কলিজাটাকে ছিনিয়ে নিতে,
তোমরা বলেছিলে পৃথিবীর সবকিছু তুচ্ছ
মায়ের আদরের কাছে,
তাই অকাতরে ঢেলে দিলে বুকের রক্ত
শুধু মায়ের মুখে 'খোকা' ডাক ফিরিয়ে দিতে।
সেই রক্তের জ্বালানিতে আজও সচল
মায়ের বাগযন্ত্র,
কান পেতে শোনো, পৃথিবী জুড়ে আজ
বাতাসে ভাসে 'খোকা' 'খোকা' ডাক।
তবুও সেই রক্তখেকোদেরই দোসর
তোমাদের রক্তভেজা মাটিতেই
আজও হুঙ্কার ছাড়ে মাঝে মাঝে।
অথচ তোমাদের পতাকা দিয়ে গেছো
আমাদেরই হাতে।
বহু অশ্রুপাতে স্নাত,বহু ফুলমালায় সজ্জিত
তোমরা অতন্দ্র প্রহরী করেছো আমাদের।


প্রেয়সীর চুম্বন মায়ের আ্ঁচল টলমল পায়ে
এগিয়ে আসা সন্তানের বাড়িয়ে দেওয়া হাত,
নির্বিকার উপেক্ষায় জানিয়ে গেলে 'ভালবাসা' কথাটা
কেবল বাংলা ভাষাতেই মেলে।
শিখিয়ে গেলে আলোর দিকে ধেয়ে আসা
অন্ধচক্র রোখার মন্ত্র।


তাই শুধু ফুল-অশ্রু নয়, কলাগাছের অবশিষ্টাংশ থেকে
জল-সার সরানোর শপথ নিতে হবে আজ।