আবার কে দাঁড়ালো এসে
হাওয়াহীন অবারিত নেড়া মাঠে?
দেখে যেন মনে হয় সদ্য ঘুম-ভাঙা সকাল?
হাতে তার লাল নীল সাদা কালো অসংখ্য ঘুড়ি,
অসংখ্য তো নয়,গুণে গুণে দেখা গেল ৩৬৫ মোটে,
সেগুলো নামিয়ে রেখে মাঞ্জা দিতে থাকে
তিন শো প্ঁয়ষট্টি হাত লম্বা সুতোয়,
মাঞ্জা দিতে দিতে তাকায় মাঝে মাঝে
চারিদিকে ঘিরে থাকা গাছেদের দিকে,


ঘুম ঘুম চোখে বুঝতে কি পারবে সে
দিগন্তে দাঁড়িয়ে থাকা গাছেদের সংকেত?
কোন্ দিক দিয়ে কখন হাওয়া আসে
অথবা আদৌ আসে কি না ভাবনাটা হয়তো বা
উন্মনা করেছিল তাকে, হঠাৎ সম্বিৎ ফেরে
আকাশ বিদীর্ণ করা ম্যা ম্যা চিৎকারে,
চকিতে দৃষ্টি তার দূর থেকে চলে আসে কাছে,
এক পাল ছাগশিশু অবিরত ডেকে যায় ঘুড়িদের ঘিরে,


হিম স্রোত বয়ে যায় সকালের শরীরে,
ঘুড়িগুলোর কাগজ খাবে না তো চিবিয়ে?
এক ফোঁটা ঘাস নেই মাঠে,আজই ছড়ানো হবে
ঘাসের বীজ,গজাতে তো সময় লাগবে বেশ,
আদৌ গজাবে কি না সেকথাও কি  বলা যায় নিশ্চয় করে?
কোন সঞ্চয় কি নেই ওদের বাড়িতে?
সময় চিবিয়ে খেলে পেট কি ভরবে ওদের?
তবু অপেক্ষায় আছে সকাল,কখন কোন্ দিক দিয়ে
বাতাস আসে অথবা আদৌ আসে কি না ...