ভরা বর্ষার আগমনী বার্তায়
তুমি তখন সদ্য কদম-কলি,
আমিও তখন তোমাকেই ঘিরে
গুনগুন সাধনায় রত অলি।
তোমার এলোচুলের কালো মেঘ
মাঝে মাঝেই রোদ্দুর দিত ঢেকে,
নিজেকে বাঁচাতে চেয়েছিলে বুঝি
দুষ্ট রোদের দহন-জ্বালা থেকে।
তবু নদীর চোখে স্পষ্ট দেখেছি
তৃষ্ণার্ত কপিঞ্জলের আকুলতা,
আকাশ তোলপাড় করা মেঘের
ঝরে পড়ার অস্থির ব্যাকুলতা।
তারপর সেই প্রবল ঝড়ের
শেষের প্রতীক্ষিত বৃষ্টি-বিকেলে
নুপূর পায়ে কাঙ্খিত বাতাসের
সুপ্রবেশ ভেজানো দরজা ঠেলে।


আবার এসেছে ফিরে স্মরণীয়
সেই বৃষ্টি-বিকেল এই বর্ষায়,
মন নেচে ওঠে ময়ূরের সাথে
নদী ঢেউ তোলে বুকে ভরসায়,
বৃষ্টির 'রিম ঝিম' মনে হয় যেন
সেই রিন ঝিন নুপূরের ধ্বনি,
বাঁধা এ জীবনের আগল ঠেলে
খুঁজে ফিরি সাগরে হারানো মণি,
বার্ষিকী পালন বৃষ্টি-বিকেলের
কদমকলিতে সাজানো উৎসব,
থমকে দাঁড়ায় পৃথিবী তখন
থেমে যায় দিনগত কলরব।


" বরষার আয়োজন"