আজ ২২শে শ্রাবণ, সকল কবির পুণ্যক্ষেত্র  কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। আমরা যারা সাহিত্যপ্রেমী তারা সকলেই জানি তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন জমিদার বংশে অর্থাৎ তাঁর শরীরে ছিল নীল রক্ত, তা সত্ত্বেও তাঁর শিক্ষাবিস্তারে অবদান, সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড, ব্রিটিশদের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে  প্রতিবাদ, সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের সুখ-দুঃখ, ব্যথা-বেদনার কাব্যিক রূপায়ণ সমগ্র বিশ্বকে চমকিত করেছিল। তাঁর জীবনীর সাথে আমরা প্রায় সকলেই পরিচিত।কাজেই এখানে আবার তাঁর জীবনী লিখে পণ্ডিত সাজতে চাই না।শুধু এইটুকু বলি,আজও, এই  দেড় শতাধিক বছর পরেও তাঁর অমর রচনাবলী সাহিত্যপ্রেমী মানুষের কাছে সমানভাবে গ্রহণীয়, ভাবলে সত্যিই বিস্মিত হতে হয়। বিশ্বের বিস্ময় এই মহান কবির প্রতি একটা কবিতার মাধ্যমেই আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলাম যেটি রচনা করেছিলাম ১৪১৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখঃ

                  নীল বৈশাখী
                  ------------
এক নীল বৈশাখী পুব আকাশে উঠে ক্রমে
ছড়িয়ে পড়লো উত্তরে দক্ষিণে এমনকি পশ্চিমে
চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়া সে বৈশাখীর যাদু-স্পর্শে
বিমর্ষও গান গেয়ে ওঠে প্রবল হর্ষে
ভাষাহীন খু্ঁজে পায় ভাষা
দিশাহীন পেয়ে যায় দিশা
নিষ্ঠুর ভুলে যায় নিষ্ঠুরতা
ভীরু ভোলে কাপুরুষতা
হতাশাগ্রস্তের হৃদয়ে জ্বলে  আশার আলো
দূর হয়ে যায় অন্তরের য্ত কালো
গোরাও ভালোবাসতে শেখে কালোর দেশকে
কাবুলি রহমত ভালোবাসে বাংলার মিনিকে


কখনওবা সে বাতাস প্রতিবাদের ভাষাও বলে
নাইট খেতাবও বিসর্জিত হ্য় শতদ্রুর জলে
রাখীবন্ধন আর একতার মন্ত্র
রুখে দেয় বঙ্গ-ভঙ্গের ষড়যন্ত্র
শোষিত উপেনের ক্থা জেনে যায় লোকে
জোতদারও চোর হয়ে যায় সমাজের চোখে
বিশ্ব-কা্ঁপানো সে বৈশাখী -
কেবল সহ্জাত নীলাম্বরেই থাকেনি সজ্জিত
রক্তবর্ণ হরিতবর্ণেও নিজেকে করেছে রঞ্জিত
(তাই)সে বিশেষ কোনো রঙ্এর নয়,সবার
রবি-কিরণতো কেবল সাদা নয়
                           সাত রঙ্এর সমাহার।