আবারও শ্রাবণ-সরোবরে স্নান করে শুচি-শুদ্ধ শরৎ-কন্যে হাজির আমাদের আঙিনায়।যদিও তার সোনালী বরণ ছিঁচকাঁদুনে আকাশের কালো চুলে ঢাকা পড়ছে মাঝে মধ্যে, উৎসবের আগমনী বার্তাতেও  বানভাসি কিছু এলাকার মানুষের দুর্দশার কথা ভেবে খুশি হওয়া যাচ্ছে না কিছুতেই, তবু শরৎ এলেই বার বার মন পাড়ি দেয় সেই কিশোর বেলায়।


        সেই কিশোর বয়সে এই শরৎকালেই প্রথম প্রেম আর প্রথম কবিতা হাত ধরাধরি করে আমার জীবনে প্রবেশ করেছিল, যা আজও মধুর স্মৃতি হয়েই রয়ে গেছে মানস-পটে।সে সময় রচিত আমার জীবনের দ্বিতীয় কবিতাটি ইত্যাবসরে উল্লেখ করার ইচ্ছা সংবরণ করতে পারলাম নাঃ-


শরতের রোদে সেজেছে পৃথিবী আকাশে খুশির নীল
হৃদয়ে জেগেছে তোমার ভাবনা হয়ে কবিতার মিল
ধুয়ে গেছে যত কালিমা আজিকে বর্ষার বৃষ্টিতে
বসুধা মেতেছে উল্লাসে আজ সুন্দর সৃষ্টিতে।


বুক ভরা জল করে ঝলমল নদী বহে উচ্ছ্বাসে
সাগরের সাথে মিলিবে সে রাতে চলে এই আশ্বাসে
দিগন্ত-জোড়া সবুজের বুকে আনন্দ ঢেউ ওঠে
খুশির বার্তা বয়ে নিয়ে আজ বাতাসেরা বুঝি ছোটে।


বনে বনে আজ ফুলের জোয়ার মনে মনে জাগে প্রেম
তাইতো আজিকে শরতের রোদ ছড়ায় খুশির হেম
দোয়েল-শ্যামা-পাপিয়ারা সবে গেয়ে যায় শুধু গান
প্রেম নিয়ে তাই কাছে এস আজ ভুলে যাও অভিমান।


কোরোনাগো বৃথা এ মধু-লগন ব্যথা দিয়ে অন্তরে
হারালে সময় আসেনাগো ফিরে চলে যায় চিরতরে
শিউলি ফুটেছে গাছে গাছে আজ হাসে যেন শ্বেত-দন্তে
খুশির সুগন্ধ বিলায়ে বাতাসে্ ঝরে  যাবে নিশি-অন্তে।