চারদিক থেকে সহস্র সংকেত ভেসে আসে,
উড়ে আসে অনুচ্চারিত নীরব শব্দের ঝাঁক,
যেন
অজস্র পূর্ব জন্মের কোন এক জন্মের স্মৃতি,
মাঝে
ফণিমনসা আর রডোডেনড্রনের অদ্ভুত সীমানা।


ওপারে
দরজার ফাঁকে ওড়নার উড়ান, দুটি নীরব চোখ,
ছাত্রের অঙ্কের খাতা থেকে আমার দৃষ্টি বার বার
সরে যায় ঐ ওড়নায় আর নীরব অথচ বাঙ্ময় দুটি
চোখে,
কবিতার মতো সুবিণ্যস্ত শব্দ নয়,
তবু কবিতার মতই
ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে সম্পর্ক।


'কবিতাও কি ভেঙে যায় সম্পর্কের মতো?'
শুনে খিল খিল হাসি
আর পাথরের টুকরো উড়ে আসে,
নির্ঘাত পাগল ঠাওরায় পার্থিব ছোকরারা,
ওরা বোঝে না ---
পাগল হওয়াই টিকে থাকার দাওয়াই,


নইলে
কে সি এন-এর পথ ধরে  লাশকাটা ঘরে।
যদিও এখন লাশের কটু গন্ধ চারদিকে,
অবাক হই,
গন্ধটা উৎসারিত আমারই দেহ থেকে,
চার দেওয়ালে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে
আমারই ইন্দ্রিয়ে,
সীমানার ফণিমনসা আর রডোডেনড্রনে
খুঁজে ফিরি সে ঘ্রাণের মানে ...