একটা গোটা অঙ্গন উন্মুক্ত রেখেছিলাম তোমার জন্য,
হ্যাঁ, শুধু তোমারই জন্য,
তোমার পদচারণা মসৃণ হবে ভেবে
মখমলের মতো সবুজ নরম ঘাসের বীজ
হৃৎপিণ্ডের বীজথলি থেকে তুলে এনেছিলাম মুঠো মুঠো,
ছড়িয়েছিলাম গোটা অঙ্গন জুড়ে।  
বসন্তে ফুটেছিল অজস্র ঘাসফুল যেন অপেক্ষায় অধীর
আকাশের অগুন্তি তারা
তোমাকে আলোকিত করার বাসনায়,
নহবতের সুর বুকে নিয়ে হাজির হয়েছিল
অচিন কোন দেশ থেকে বাদক কোকিল,
শঙ্খচিলের মুখে শুনেছিলাম অভিসারের পথেই তুমি,
সে তো কেবল শোনা নয়, যেন হাজার বছরের খরা
হঠাৎ অবসৃত, বৃষ্টির প্রবল ধারায় আধমরা আউশ ধানের গাছে
অজস্র মুকুল-উদ্গম,


অবশেষে তোমার আগমন,
যেন সার্থক সকল আয়োজন,
কতটা পথ হেঁটেছিলে মখমলের মতো সবুজ ঘাসে?
কতটা ঝড় তুলেছিল তোমার বুকে কোকিলের নহবত?
কতটা সুবাসিত করেছিল তোমার জগৎ ক্ষুদ্র ঘাসফুল?


মনগড়া ভাবনায় অন্ধকার নেমে আসে,
আলো শুধু জানে
শক্ত হয় ঘাসের ডাঁটি ফুল ফোটানোর সময়,
হয়তো পায়ে সামান্য ব্যথা,বিনিময়ে চোখ নয় মন-জূড়ানো
ফুলের অসামান্য রঙের অফুরন্ত মেলা,
  
জানা ছিল 'অন্ধকারের ভ্রান্তি খসে পড়া তারার মতো',
অথচ ধ্রুব তারার মতো সাজিয়েছিলে মনের আকাশে,
তাই কাঁটা ভেবে ছেড়ে গিয়েছিলে সবুজ অঙ্গন,


কাঁটা নয় ঘাসের শক্ত ডাঁটি ফুল ফোটানোর অপেক্ষায় ...