"লিখুন মশাই ছন্দ ছেড়ে আল্ট্রা মডার্ন কাব্য,
তখন না হয় ছাপবো কি না সেই কথাটা ভাববো;
রবি এখন অস্তাচলে, পচচে সেসব বস্তায়,
এখন কেবল নিশিজীবন, জোছনা মাখে সস্তায়।
ছুটছে মানুষ ফাটছে ফানুস, জীবনটাই যে গদ্য,
কাব্যি করার সময় কোথায়? চলছে না তাই পদ্য।"


ঘাড় নেড়ে সায় দিতেই হলো, বনতে হবে কবি,
স্বপ্ন চোখে,দাশের পাশেই টাঙানো মোর ছবি।
রাত জেগে রোজ আকাশ থেকে পাড়ছি এমন শব্দ,
কেউ কখনো শোনেই নি তা, পাঠক হবেই জব্দ।
এমনি করেই খান পঞ্চাশ লিখেই ফেলি কবিতা,
তারপরে ঘুম তৃপ্ত মনে,উঠিস না আজ সবিতা।


হঠাৎ শুনি রিং-য়ের আওয়াজ, পালিয়ে গেল ঘুম,
ঝিঁঝিঁর আওয়াজ পড়লো চাপা, রজনীও নিঃঝুম।
ওপার থেকে প্রকাশকের গুরুগম্ভীর গলা,
"ভুল হয়েছে কবিমশাই গদ্য লিখতে বলা,
জানোই তো সব, ব্যবসা বুঝি, কাব্য কি আর বুঝি?
স্বর্গে গেলেও বাজার কোথায় সেটাই কেবল খুঁজি।


গিন্নি আমার সবই বোঝেন কাব্যি থেকে ফ্যাশান,
তার কথাতেই বলছি শুনুন, ছন্দে শব্দ মেশান,
আবার না কি চল হয়েছে ছন্দে কাব্য লেখা,
গদ্য-কাব্যে নেই কোন তল, যায় না কিছুই শেখা,
আসল কথা অন্য কাজে ব্যস্ত এখন মাথা,
ফুলের পরে ফুল সাজিয়ে হোক না মালা গাঁথা।


এমন শব্দ করুন চয়ন,পালাক না লজ্জা ভয়,
জয় হে শরীর জয় হে শরীর, নারী ও শরীর জয়,
মনটা সবার খিঁচড়ে আছে,সেঁকতে যে চায় আঁচে,
যৌনতা দাও ছন্দে ঢেলে,পাঠক যেন বাঁচে,
বাঁচলে পাঠক বাঁচবো আমি, আমি যে ভাই বনিক,
ভাঙা মনের পাঠকরা চায় সস্তা-বাঁচার টনিক।