সেই অপরূপ মুখ যেন জোছনা-প্লাবিত স্রোতস্বিনী,
বিস্মৃতির পাহাড় থেকে এসে একটু একটু করে বাসা বাঁধো
মোহনার বুকে, আমি বিমুগ্ধ ভুলে যাই চারিপাশের
মরুভূমির রুক্ষতা, মোহনার মতো একটু একটু করে
শুষে নিই জোছনার সবটুকু আলো, বিমুগ্ধ চোখে দেখি
আকাশের নীলে মিশে যায় রুক্ষ পৃথিবীর পাথুরে ধূলিকণা,


হ্রদের কিনারে সেই মেহগনি গাছ ব্যাকুল হৃদয়ে আজও
তোমার পিঠের স্পর্শ খো্ঁজে বাকলের গভীরে, মাছ ধরা ভুলে
সেই মাছরাঙা পাতার আড়াল থেকে বেজোড় আমাকে দেখে
অবাক চাহনি হেনে বিদ্ধ করে বুক, আমি জবাবহীন দৃষ্টি
সরিয়ে ঊর্ধ্বমুখী হই, দেখি বাইকের চাকার দাগে
তোমার পায়ের ছাপ লুকোচুরি খেলে  দূর আকাশের
মেঘে মেঘে, তোমার অস্ফুট শৃঙ্গার-ধ্বনি ঝরে পড়ে
বৃষ্টির ফোঁটায়  ফোঁটায়, চাতকের বে-হাঁস পালকে
লেগে থাকে অজস্র বৃষ্টির কণা...


ওদিকে অপেক্ষায় আছে রাজ্য-সড়ক,
একদিন গলেছিল পিচ রোদের প্রখরতায়,আজও
লেগে আছে দাগ বাইকের চাকায় চাকায়, এখন
সেখানে পিচ-ওঠা কংক্রীট ......


একমাঠ রোদ্দুর পেরিয়ে শীতল ছায়ায় কেমন আছো
সুচরিতা?