তখনও টিমটিম করছিল বার্ধক্যে নুয়ে পড়া আলো,
যদিও দুর্জনেরা বলছিল অকালবার্ধক্য,তবু আশা ছিল
সন্ধ্যা এসেই বুলিয়ে দেবে প্রলেপ,
অথচ সন্ধ্যার জল্লাদ বাতাস খুঁজে পেল না অক্সিজেন,
ঢেলে দিল চাপ চাপ কালো রক্ত!
যদিও জানি তিন দশক আগেই হয়েছিল ডায়াগনোসিস,
চোখে পড়েছিল ব্যাঙগেলা সাপের মতো সকালের স্থবিরতা।


চিরকাল সাত আর পাঁচের ভয়ে ছয়েই থেকে গেছি,
তবু দলবেঁধে নিয়ে গেছি আরোগ্যনিকেতনে।
অকারণ কালক্ষেপে অনেকটাই ঘটে গেছে রক্তক্ষরণ!
দায়ী নাকি মধ্যবিত্তসুলভ গড়িমসি!
তবুও তো কথা ছিল কোলে তুলে নেবে মাথা, পরম
মমতায় চলতে থাকবে নতুনতর চিকিৎসা...


অথচ নিকেতনজুড়ে রাস্তার সারমেয়ের দাপাদাপি!
প্রহরীর দুহাতে প্রশ্রয়ের উচ্ছিষ্ট!
কোথায় প্রযুক্তি? কোথায় প্রতিশ্রুতি? ট্রামের
চাকায় চাকায় মান্ধাতা স্মরণ!
যদিও ভাঙা ছিল ছুরি-কাঁচি, জানা ছিল ঋণ,
তবে কেন সোচ্চারে ধরেছিলে হাত? গিয়েছিলে নিয়ে
ভেন্টিলেশনে?


বিকল্প অদৃশ্য বলে এভাবেই রক্ত ঝরাবে দিন?
আর কত দেখা যায়?অন্ধকার নেমে আসে
লণ্ডনের রাজপথে ,
ত্রিফলার আলোয় বাড়ির পথ চেনা যায় বেশ,
হে্ঁটে যাই গলির দিকে,কানে আসে সারমেয়ের
হর্ষ উল্লাস।
বেশ বোঝা যায়, সারমেয়রাই পার করে দেয়
তুফানধ্বস্ত ভাগীরথীও, ঠিক আগের মতই।


বাড়ি ফিরে দেখি টেবিলের ওপর পড়ে আছে
সকালের বাসি খবরের কাগজ,
হঠাৎ কেঁপে উঠি, খুলে যায় জানালা,
বধিরতাব্রত টুটেই যায়, কানে আসে টেমসের ধস!
টেমস না ভাগীরথী? ভাবনার সুতো ছিঁড়ে যায়,
আশ্চর্য হয়ে দেখি ধস নামে কেবল এক পাড়ে,
নামতেই থাকে ...
আর ভূকম্পপ্রবণ এলাকার পরিসর বাড়তে থাকে,
বাড়তেই থাকে ...