উঠোন দেখি আকাশ থেকে
বাতাস আনে গন্ধ বয়ে,
গন্ধখানি শুঁকতে মানা
ফুলের পরাগ যায় শুকিয়ে।


তাই তো পাড়ি আকাশকুসুম
তারই গন্ধে বেঁচে আছি,
উঠোনখানি অনেক দূরে
কিন্তু তুমি কাছাকাছি।


গনগনে রোদ উঠোন জুড়ে
জোছনারও বেশ আনাগোনা,
নাড়ছিলে ঠোঁট গাইবে বলে
গানটি তবু হয় নি শোনা।


ইচ্ছে করে শুনতে আজও।
শুনছে যে সে আনমনা খুব,
মুক্তোপুকুর হেলায় ফেলে
বদ্ধ জলায় দেয় শুধু ডুব।


ভাবছো বুঝি ভুলের মাশুল?
ভুল সেতো নয়! ভাগ্য মানি।
জাদুর কাঠি ছিল তবু
মিথ্যে তো নয় কবির বাণী।


চাওয়া-পাওয়ার আড়িই বেশি
ভাবের বেলায় সিঁটোয় যে নাক,
যেই ভেবেছো এসেই গেছি
অমনি পথের খেইহারা বাঁক।


তবু তোমার পাই যে দেখা
কে জানে কোন্ ভিড়ের মাঝে,
হঠাৎ করে উঠোন দেখি
দুপুর বিকেল সকাল সাঁঝে।


তখন শুধুই উঠোন জুড়ে
জমা মেঘের বৃষ্টিধারা,
এমনি করেই সঙ্গে আছো
মরুর বুকে হও নি হারা।
--------------------------------------------
কবিতাটি স্বরবৃত্ত (দলবৃত্ত ) ছন্দে রচিত। প্রতিটি পঙক্তিতে চার মাত্রার দুইটি করে পূর্ণ পর্ব আছে।
জোছ্ নার্ ও বেশ্ | আ না গো না   ৪ |  ৪