একজন নারীকে দেবীরূপে ভাবতেই ভাল লাগে।
তার জননী ভার্যা কন্যা রূপেও যুগে যুগে মোহিত
হয়েছে কতশত পুরুষ,যেমন করে পাহাড় স্নিগ্ধ হয়
ঝর্ণার স্পর্শে, আকাশ আলোকিত হয় চাঁদের আলোয়।


যুগ-যুগান্তরে দেশে দেশান্তরে কত চিত্র করেছে চিত্রণ
বিস্ময়ে বিমুগ্ধ শিল্পী, কত প্রেমিক কবি কতশত
কাব্যালংকারে সাজিয়েছে নারীর ভিতর-বাহির,হিসাব কি
আছে তার? তবুও চাঁদের গায়ে থেকে গেল কালো দাগ।


আমরা পুরুষেরা আলোড়িত হই,বিস্মিত হই,বিধাতাকে
জানাই অজস্র সাধুবাদ তাঁর এই অপরূপ সৃষ্টিশৈলীতে,
অথচ দুঃস্বপ্নের মতো আচমকা অন্ধকারে ঢেকে যায়
চারপাশ,আবির্ভূত হয় ইন্দ্রাণী বোরার মতো কামিনী।


আমরা সেই মাকে চিনি যার সন্তান তার হৃৎপিণ্ড ছিঁড়ে
উপহার দিয়েছিল প্রেমিকাকে, তবু এতটুকু কমেনি
সন্তানস্নেহ,কন্যাহন্তা মাকে চিনি না,চিনতেও চাই না।
এই বিশ্বাসটুকু থাক, সে নারী নয়, ব্যতিক্রমী নারী।
----------------------------
সাম্প্রতিক খবরের ভিত্তিতে লেখা।