শুনশান চারিদিক, হে বৃক্ষ নিজের দিকে তাকাও,
গোধূলির আকাশ আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়েছে তোমায়,
হয়ে আছো একাকার,,,
তবু কেন দুলে ওঠে ভারাক্রান্ত ডাল?
বাতাসের দোহাই? বাতাসতো থাকে চিরকাল,


হে বৃক্ষ, পাখিরা চিরকাল চঞ্চুবিলাসী...


তোমার মাথাভরা কৃ্ষ্ণপল্লব, নুয়ে পড়া ডাল,
চকচকে বাকল।


উকুন অথবা ফল অথবা বাকলের নিচে জমা অফুরন্ত
রস,
এ কেমন মহিমা জাদুর! মায়াজালে জড়ায়

নিমেষে বদলায়
আদি প্রাণী অথবা কাঠঠোকরায়!


আচমকা জালিকা ছ্যাতরায় ভদ্রতায় ন্যাতানো অঙ্কুশী,
হয়তো বা অজান্তে অনিচ্ছায়,


অনিচ্ছায়?
অনিচ্ছায় বৃষ্টি ঝরায় মেঘ!
তবু কেন বেড়ে যায় বেগ?


যদিও কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই পারে আবহাওয়া...
তার শৈত্যই জমিয়ে দেয় ভাসমান কণা,
আর কে না জানে বাতাসের পেটেই ঘাপটি মেরে থাকে ঝড়!
অনায়াসে ধূলোয় মিশে যায় মজবুত বেড়া।


থাক না উপেনের জমি বাবুর দখলে,
ও বৃক্ষে তারই যে অধিকার জানে তা সকলে,
কিসের ভদ্রতা? কিসের অনুতাপ?
ফুঁসে কি ওঠে না কখনো নিরীহ সাপ?
অনুতাপে বেলা যায়,তমসায় ঢেকে দেয় রাত
ঐ দ্যাখো সাঁঝবাতি বাড়িয়েছে হাত ...


অবশেষে
প্রসারিত হয় অঙ্কুশি ...
আকাশের দিকে ধাবমান ছুঁয়ে দেয় ডাল, বাকল,খসে
পড়ে ফল,যেভাবে
পৃথিবীর অভিকর্ষ একটা একটা করে খসিয়ে আনে আকাশের তারা।


আমি বাক্যহারা


হে বৃক্ষ হে আকাশ, অভিকর্ষই কি
তোমার তারাদের টেনে আনে? না কি


তুমিই স্বেচ্ছায় খসিয়ে দাও একটি একটি তারা ...