কেবল শব্দ শোনা যায়,করতালি অথবা ঝর্ণাধারা!
দূরে বহুদূরে অথবা নিচে বহু নিচে শ্যামলা উপত্যকা,
সেখানে পাখিরা গান গায়,উড়ে যায়,খেলা করে ইচ্ছেমতন।
তুমি কর্ণকুহরে শব্দ ঢেলেছো,কেবল মরমকে করেছো উৎফুল্ল,
জানো কি ষষ্ঠ্জন পাত্র উজাড় করে নিলে বুভুক্ষু থাকে পঞ্চ উদর?


হে পাথুরে উচ্চতা,আকাশ ছুঁয়ে ছুঁয়ে আঙুলেরা আজ বড় ক্লান্ত,
অবসন্ন।সূর্যাস্তের রক্তিম আভা নয়,এবার ঝাঁপাতে চাই তপ্ত
লাভায়, তোমার উচ্চতা থেকে নেমে যেতে চাই ধীরে ধীরে,
পতন অথবা অধঃপতন ! এখানে সব বরফ গিলে নেয় অজস্র
শব্দরাক্ষস। আর দেরি নয়, এবার আপ্লুত করো,আয়োজন করো
বিদায় সম্বর্ধনার।


আরোহণে কাঠখড় পোড়ে বেশি, অবরোহণে চার চরণই
হাতিয়ার। অপেক্ষায় আছে শ্যামলা উপত্যকা, সজলা কূপ,
সুকোমল পদ্মযুগল,সেখানে পাখিরা গান গায়,উড়ে যায়,খেলা
করে ইচ্ছেমতন! তালির শব্দ নয়, ধরা যায় হাত, ঝর্ণার শব্দ নয়,
ছোঁয়া যায়  জলকণা, এবার  ক্লিষ্ট হতে চাই,্ভেজাতে চাই শরীর
প্রকট অবগাহনে। পতন অথবা অধঃপতন, এবার  নেমে যেতে হবে ...