পাড়ে বসে উদাসীন কবি।
এক হস্তে ভর হেলান দিয়ে, তরঙ্গরাশি পানে নির্নিমেষ চেয়ে, স্থল বাসীর বিরুদ্ধে যেনো সংগ্রাম প্রতিচ্ছবি।


হঠাট অদূরে মাঝির ভাটিয়ালী হাক!
কবির বোধোদয় হয় যেনো আমাতে কেহ জিজ্ঞাসু;
কবি ছিল ঘোর উদাসীন মুখ মন্ডল মেঘাচ্ছন্ন মলিন;
বোধোদয়ে যেনো মুক্ত হয় বক্তব্যের ঝুলি।
"এই যে নদী ভাঙ্গন, এই চরা বিলীন অপর গড়ন;
কৃষিমাঠ আবাসস্থল, বিস্তৃত অঞ্চল, কে করে গ্রাস তটিনী গর্ভে?
কত নিষ্ঠুর ক্ষণদা! জ্বীব-জর, ফসলী কয়েক দন্ডে কোথা অদৃশ্য সর্বে?


এতো সব বলে কবি মাঝি ভাই বলে দেয় ডাক;
কোথা মাঝি নেই চিন্হ, কয়েক গুচ্ছ কচুরিপানার ভাজ।
তরঙ্গরাশি আর কবি;
জলে জলময় আঁকাবাকা মেঘলা ছায়ালোক ছবি।


কবি আপনারে জিজ্ঞাসে,
এই যে দুর্যোগের উদ্দেশ্যে ব্যক্ত উক্তি;
মঝিহ্রিদে কি অণুপ্রায় রয়েছে ভক্তি।
নাকি শ্রবণান্বিত হয়েও না বুঝার ভান।
নতুবা কেন সে নিত্ব আসা-যাওয়া তটক্ষয় প্রত্যক্ষদর্শী।
অপরের বেদনে কেন তবে এতো পলায়ন প্রস্থান?


কবি পথ ধরে বিষন্নতায় মৃদু হাসে।।