হাতে লয়ে জল আলোকিত শতদল
অবারিত বিন্দু ফোঁটা কদমকলির বদল
ধিক্ ধিক্ শতধিক মৌ মৌ রবে
ভোরে স্নান করি গঙ্গা পূর্ণ করি ভবে
নাই নাই ঠাঁই নাই দরিয়া সম জল
থেকে থেকে ফের আসে অগ্নি ভাঙার দল
চারিদিকে কত মেলা মিছে করি ভুল
কত আশা কেঁদে মরে হয় ভুলের মাশুল
ভরা ডুবি দূর গ্রাম কল্পনা মায়া
দেখে মেনে হয় কাঁদে হাতরিয়া হাতরিয়া
তীরে এসে তরী যেন ডুবিবার পথে
ছন্দ অন্ধ হয়ে মাঝি পাল তুলে রথে
থেমে হাঁক সেই ডাক নাহি কেউ শোনে
নাই ছন্দ সুর তবে থাকে কে অঙ্গনে
ছায়া নৃত্য মাঝে থেকে কল্ কল্ আঁখি
তরু ধারা লয়ে বহে সবিনয় দেহি
এ মোরে লহ মান হানিব প্রভাতে
তিল তিল হয় মান প্রভুর প্রেত্মাতাতে
ভোলা মন পূজা তবে ফুলের সাধনা
অকাতরে ঠেলি জলে সুপ্ত মনবাসনা
প্রথা তব নত মুখ হাত বাড়িয়ে চাই
আমারে দেখিতে তার কোন মায়া নাই
তবু চাই ক্ষমা মোরে দাও সুপ্ত আশা
মন শুধু চায় পেতে একটু ভালবাসা
ভালবাসা দাও তুমি দাও একটু প্রেম
ডালি ভরা ফুল পূজা সব শুধালেম
মঙ্গল কর সব মুশকিল আশান
চারিদিকে ধ্বনিত হোক তোমারই জয়গান ।।