ধূলিমাখা অবারিত সবুজের মাঝে
খেলা করে একটি শিশির কণা
সূর্যরশ্মির কিরণে প্রতিফলিত হয়ে
ফিরে আসে শত কল্পনা হয়ে
ঐ চেয়ে দেখ এসেছে নতুন ভোর
পাখিদের কলতানে মুখর চারপাশ
দূরের নীলাভ আভা মিশে ঐ
দিগন্তজোড়া বিশাল বিস্তৃত মাঝে
আজ আকাশে খেলা করে
অগণিত সাদা মেঘের ভেলা
চাতকের মত একটি মাছের অপেক্ষায়
তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে বসে আছে দূরের মাছরাঙা
শীতল দমকা হাওয়া বয়ে যায়
ক্লান্ত পরিশ্রান্ত শ্রমিকের দেহে
চারিদিকে অস্ফুট আলো অপেক্ষায়
গগনরাজ মস্ত সূর্যতাপের অবগাহনে
এমন সময় একটি ছোট্ট বুলবুলি
এক পা, দু পা করে হেটে চলে উঠানে
পরক্ষণে ফুড়ুৎ করে উড়ে সে
গান ধরে গাছের মগডালে বসে
পরক্ষণে আমার ক্লান্ত তনু
হেলিয়ে আরাম কেদারার পানে
চশমাটা পরে নিয়ে ফের
উল্টাতে থাকি পত্রিকার পাতাগুলো
হঠাৎ কানে ভেসে আসে
ডিঙ্গি নৌকার মাঝি মাল্লার গান
দেখি গানে গানে তাদের নৌকা
পৌছে যায় বিশাল সমুদ্রের মাঝে
আবার দেখি, দেখতে থাকি আমি
সবুজ গাছগাছালির ফাকে খেলা করে
সুন্দর পাখা মেলানো রঙিন প্রজাপতি
রঙের সৌন্দর্যে তা যেন বদলে দেয়
শান্ত কোমল প্রকৃতির রূপ ।।