বাতাসে এখন আর শিউলির গন্ধ নেই,
কেমন যেন দম বন্ধ হওয়া শ্বাসরুদ্ধকর হাওয়া,
এ কোনো মৃত মানুষের পঁচনের গন্ধ নয় তো?
গন্ধের সাথে ভেসে আসা শব্দগুলোও একদম অপরিচিত লাগছে,
শব্দ গুলোও যেন কেমন;
পাখির কলরব, বাঁশির সুর আর কৃষাণের গান
এর কোনটির সুরই তো এমন নয়,
তবে এ কারও চিৎকার নয় তো!
নাকি সর্বহারাদের আর্তনাদ!!
সর্বনাশা শকুনগুলো আবারো আঘাত হানলো নাতো?
নাকি বাতাসের প্রতিটি কণাই বিষ ক্রিয়ায় বিষাক্ত।
একসময় গ্রামের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে সকাল-সন্ধ্যা হাসি বিকিকিনি হতো,
এখন সেই ছোট্ট মোড়গুলোতে মৃত্যু বিকিকিনি হয়।
তাই ভয়ে সন্ধ্যেটা ঘরেই কাটিয়ে দেই,
আর বিকালটাও দেখি স্কুলের মাঠ আর খেলাপোযোগী নয়,
সেই ফুটবল-ক্রিকেট খেলোয়াড়রা মাঠের একোণে -ওকোণে;
চারকোনা-গোলাকার করে বসে বাতাসে বিষ মিশিয়ে দিচ্ছে,
তাই বিকালটাও ঘরেই কাটিয়ে দেই।
ওদের শক্তিশালী দল আর একতা দেখিয়া বড় লজ্জা হয়,
যদি হেরে যাই!
তাই আমি এখন একা থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।