বৈশাখী মেলার মাঝামাঝিতে বাড়ির সকল স্বজনে যখন জমজমাট, ঠিক তখনই,
বিশ্বেশ্বরের সৃষ্টিকৃপায় বৈশাখীর মেলাতে ; এনেছিলে এক মানবফল।
সৃষ্টি করেছিলে আরো এক মেলা!
মেলা থেকে প্যা-পু বাঁশি নিয়ে,
রংবেরঙের খেলনা কিনে,
ছোট্ট খোকাকে কূলে নিয়ে হেসেছিলে;
এক আত্মতৃপ্তিময় প্রাণবন্ত হাসি।
দেখোনা চেয়ে সেই ছেলে এখন
কত বড় হয়েছে!
ঘুপটি মেরে চোখটি বুজে না থেকে,
একবার দেখোনা তোমার ছোট্ট সোনাকে।
এখন সে তোমার কথায় চাঁদ দেখতে জানে,
এখন সে তোমার জন্য মাঠে ভাত নিতে শিখেছে,
তোমার কথামতো পড়াশোনাও করছে,
তবে তুমি কেন অমনকরে বেখেয়ালি ভাবে  অন্যদিকে চেয়ে থাকো!
তুমি না বলেছিলে, আমি এলে আমাকে সাথে নিয়ে পুকুরে নিজ হাতে মাছ ধরে,
একসাথে হইহুল্লোড় করে বাপ-বেটা খাবে !
দেখোনা বাবা,
আমি এসেছি, আমি আজ তোমার কাছে এসেছি।
আমাকে সাথে নিয়ে রুই মাছ ধরবে না?
আমাকে মাছের মুড়ো খাওয়াবে না?
বাঁশ ঝাড়টার নিচে চ্যাং টা একদম ভেঙে গেছে,
আমি এখন সেখানে বসে একদম পড়তে পারি না,
সেটা এখন কে মেরামত করে দিবে বল?
আসোনা দুজনে মিলে সেটাকে মেরামত করি,
ছেলের সাথে কেউ এমন করে রাগ করে,
আমি না তোমার ছোট্ট সোনা,
তুমি আমার কথা শুনবে না বাবা?
আবার তো মেলা এসে গেল ;
তুমি আমায় নিয়ে মেলায় যাবে না বাবা?