ইস্!  আবারো বরই পাকা শুরু হয়েছে।
জানিস, তুই নেই বলে,তোদের বাড়ির পিছনের গাছটি থেকে ইচ্ছেমত বরই পেড়ে খেলাম,
কিন্তু কি মনে হলো জানিস?  এরকম অস্বাদু বরই আমি জিবনে দ্বিতীয়টি খাইনি!
জানালার ফাঁকে ওকি দিয়ে যখন দেখতি বরই পাড়ছি,
তখনই আমার মুখটি দেখে তেলেবেগুনে জ্বলতিস,
সেই সময়কার বরই ঢের ভালো ছিল ।
এখন মনে হচ্ছে, পঞ্চ ইন্দ্রীয়ের সকল স্বাদ সেই বরই গুলোর সাথেই গলদকরণ করেছি!
আজ দুদিন যাবত মন খারাপ করে উত্তরের চ্যাংয়ে (মাচায়) বসে আছি,
কেউ আমাকে গান তো দূরের কথা,একটু পাশে বসলোও না!
কিন্তু তুই সামান্য মন খারাপ দেখলেই ;
ছাগল খোঁজার নামে দড়ি হাতে নিয়ে
আমাকে না দেখার ভান আরে "বাড়ির কাছে আরশীনগর" গানটি গেয়ে গেয়ে আমার চারপাশেই ঘোরাঘুরি করতি।
তারপরও কথা না বললে,
বরই, তেতুল আর কাঠালের মুর্ছি একসাথে বর্তা করে এনে বলতিস, তোর জন্য করেছি, খাবি?
আমি রাগী ভাবধরে খাইতাম,
আর বলতাম এটা হয়নি, ওটা হয়নি?
তুই কিছুই বলতিস না,
গাধার মতো সহ্য করতি।
এখন এ সবকিছুই যেন কল্পনায় ঘটে, আর বাস্তবে ঘটে অদ্ভুত হাসিটুকু ;
যা দেখে সবাই আমায় পাগল বলে!
জানিস?
এখন আমার অনেক বন্ধু হয়েছে ;
প্রতিদিনই তাদের সাথে ম্যাসেঞ্জারে কথা হয়,আড্ডা হয়,
সবাই কতো আদর করে আমাকে , কিন্তু
তোর মতো আপইন্নে বলে  ব্যাংচায় না,
তবুও ফেসবুকের এই হাজারো বন্ধুর মাঝে তোকে খুব মিস করি!  
সেই যে বসন্ত প্রয়াণে চলে গেলি শহরে,
চার বসন্ত পার হয়ে আবারো বসন্ত এলো
তবুও  তোর ফেরার নাম নেই,
শহুরে বন্ধুদের আড়ালে আমায় কি তোর একটুও মনে পড়ে না!