অবশেষে তুমিও হাত ছাড়লে!
তুমিও চলে গেলে
আমায় নীল পাথারের অথৈ জলে ফেলে
বিষাদনীলিমায় রক্তিম বক্ররেখার মতোই
জীবনের রেখা টেনে!
সেদিন তো এমন কথা ছিলো না,
ছিলো না কোন পাজর ভাঙ্গার সন্ধি
কিংবা একাকিত্বের নিষ্পলক জীবন বয়ে যাওয়ার
একপাক্ষিক চুক্তি ;
যেদিন আমি তুমি বসে এই শিমুল পলাশের কূঁজবনে,
লিখেছিলাম দুই লাইনে একটি কবিতা ;
অখন্ড জীবনাঙ্গন।
একবার এসে দেখে যাও ;
সেদিনের সেই পলাশের  খিলখিল হাসি এখনো আছে,
শিমুলের টুকটুকে লাল একটুও কমেনি,
কোকিলের সুরও ঠিকঠাক
কৃষ্ণচূড়ার নিচের বেঞ্চটাও আছে
শুধু একটি সিট খালি!
হ্যাঁ, অভাগা আমিও এখানেই আছি,
শুধু তুমিই একা শুয়ে আছো নিশ্চুপ লিচুগাছটির নিচে!
তবে তুমি কথা রাখলে না!!