ধরিত্রী আজ তুমি দেখে নিও
জনয়িত্রী কে,
চিনে নিও তোমার প্রণয়িনীকে।
হ্যাঁ, বাকি থেকে না
জনতার পদধূলি থেকে রাস্তায় দাড়ানোর ল্যাম্পপোস্ট,
পাড়ায় জমে থাকা রসালাপী মোড় থেকে ঝোঁপের আড়ালে নেশাতোর যুবা,
কিংবা রক্তখেকু চিবুক চাটা আগ্রাসী হায়েনার দল।
শুনে নাও তোমারই বক্ষপুটে ছোড়া
কন্যা-জায়া-জননীর ত্রিমাত্রিক বিবেকবার্তা।
রাস্তায় যার চলনে বাতাসে তুমি কামনার গন্ধ নিতে
যায় আগমনে চায়ের আড্ডায় বেমানান মুখে কামজ গান ধরতে,
ঝোঁপ আড়ালে বসে হায়েনার শিস্ দিতে,
একা পেয়ে নির্লজ্জ বেহায়ার মতো
চিবুক চেটে যার রক্তে সেদিন পদচিহ্ন এঁকেছিল,
তিনি কে ছিলো জানো?
ল্যাম্পপোস্ট আলোর সেদিন কার মুখ চেনোনি জানো?
নৃশংস জানোয়ারের মতো পদধূলিতে সেদিন কার রক্তিম ছবি এঁকেছিলে জানো?
না, জানো না!
সেই দিনের সেই রক্তিম নারীটিই ছিলো
তোমার একই উদরে জন্ম নেওয়া তোমারই বোন,
তোমারই ঘর সাজানো তোমরই ভালোবাসার বনিতা,
তোমাকেই জন্ম দেওয়া তোমারই জননী ;
নৃশংস হায়েনা হয়ে তুমি যাকে কখনোই নিজ চোখে দেখোনি!