শেষরাতে আজ আমি ডুকরে কেঁদেছি
ভাসিয়ে দিয়েছি আমার একাকিত্বের ভর্ৎসনার গা,
যখন তুমি নিশ্চুপ আমায় অথৈই জলে গহিনে ফেলে অতল স্পর্শী হয়েছিলে,
একবুক অম্লান হাসি নিয়ে
বুকজ্বলা অভিমানে নিরুদ্দেশ হয়েছিলে!
সেই কথা ভেবে।
আজ চোখের জলে কবিতা লিখেছি এই ভেবে যে,
দিগন্তের সবুজ সমারোহে তুমি আমি বসে বলতে,
মরমর ধ্বনিতে ঝরঝর পাতা তোমার কেন এতো সুপ্রিয়?
আজ বুঝেছি,
আজ বুঝেছি আমি; সবটাই ছিলো তোমার জীবনের পূর্বরশ্মি,
আজ রাত শেষে আমি চিৎকার করে হেসেছি!
শুধু এই ভেবে যে,  তোমাকে আমায় আজ কষ্ট করে জাগাতে হয়নি,
আমি জানি,
প্রতিনিয়তই এই কাজে তুমি রেগে যেতে
তুমি লুকিয়ে আমায় গালি দিতে
বলতে আমাকে ছেড়ে চলে গেলে তুমি বাচঁবে,
সুখের সাগরের ভাসবে!
আমি ডাকলেই সহস্রাধিক দায়িত্ব তোমার ঘাড়ে এসে পড়তো,
বলতে এই বাকি, সেই কাজ, বাবার ঔষধ,কত কি ....
এখন এগুলো কে করে শুনি?
তোমার মাথা ব্যথার প্যানপ্যানানি কে শুনে বলি?
আবার বলছো তুমি এভাবেই সুখী,
না কখনোই না!
তুমি ঠকিয়েছো তোমায়!
তুমি অপরাধ করেছো!!
আমি জবাব চাই?
আমি এর সবকিছুর জবাব চাই?
সত্যিই বলছি,
আমি এইও জানি ; আজ তুমি সুখে নেই,
আমায় ছেড়ে তুমি সুখে থাকতে পারোনা,
কেননা তুমি আমায় পথ চলতে ,
আর আমি  তোমাতে শ্বাস নেই,
তাহলে আমার আমি শ্বাসববিহীন কেমন আছি?
তুমিই বা কতো সুখে আছো?
ভেবে ঝরা পাতায় লিখে দিও,
যেন দখিনা বাতাসে সে আমার কাছে আসে
আমি বসে থাকবো সেগুনবাগিচায়।