আমি জানি এমন অনেক সাহিত্য সম্পদ ডুবে আছে বাংলার আনাচকানাচে, তবে এটা জানি না দেশ বা জাতি এদের কি দিয়েছে, না পেয়েছেন প্রাপ্য সম্মানটুকু, না পেয়েছেন প্রতিভার মূল্য, তবে আমরা অপ্রকাশিত পাঠকরা আপনাদের ভুলিনি, বিনম্র শ্রদ্ধা,কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা জানবেন, স্যার জনাব জসীমউদ্দিন মুহম্মদ। ......


কথায কথায় যেখানে কাব্য গাঁথা হয়
ঠিক সেইখানটাই তোমার জন্ম।
না, কোন রবিন্দ্র বা নজরুল নাড়ীতে নয়
নয় কোন দার্শনিকের ভিড়ে,
যেখানে হাওর, বাওর আর ভাটিয়ালী মিলে
মৈমনসিংহ গীতিকা'র প্রচ্ছদ হয় সেইখানটাই।
হাওরের কাদামাটির জলে ভেসে
ভাওয়াইয়া গানের তাল ধরে
তুমি শত কাব্যের জন্ম দাও,
কথা উপকথায় তুমি সহস্র কবিতার জননী হও,
তোমার স্পর্শে আমার সুপ্ত হৃদয়ে লক্ষ কবিতার ভ্রুণের সৃষ্টি হয়,
তোমার এক কথায় মিলে যায়
শত বিচ্ছেদী প্রেম,
বলতে গেলে যেখানে ভ্রাম্যমাণ আদলত বসে
সেইখানটাই তুমি প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট।
এত কথার  মাঝে যেটা না বলা কথা
যেটা আমার সুষুপ্ত মনে অগ্নিস্ফুলিঙ্গে রূপ নেয়;
সেটি হলো তোমাকে ঘুমন্ত অথবা আধামৃত অবস্থায়
লব্ধ সাহিত্য মঞ্চের বাহিরে পড়ে থাকতে দেখা!
যে মঞ্চ তুমি সভাপতিত্বেও কৃতজ্ঞ নও,
আজকাল তোমাকে কাতরাতে দেখা যায় ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে,
তাও আবার সেই বেসামাল অন্ধচক্ষু বিচারক গুলোর জন্য,
যারা কিনা দামে কেনা সাহিত্যে দিক্ষা দিচ্ছেন,
কোন সৃজনশীল সাহিত্য মননে নয়।