অতঃপর পরিণয় আদমে হাওয়ায়
বেহেস্তের সময় যায় খুব দ্রুততায়।
দুধের নহর দেখে ঝলমলে বয়
নূরের ঝরনায় চেয়ে শিহরিত হয়।
আনন্দে ঘুরেফিরে দেখিল এক গাছ
ঝুলছে রঙিন ফল– সুন্দর লেবাস।


হাওয়ায় চাইলো খেতে সেই ফলখানি
আদমের পড়লো মনে প্রভুর নিষেধবাণী–
"যেই ফলের দেখিবে অত্যধিক আকর্ষণ
ভুলেও যাইবে না কাছে, করবে বর্জন।"
কিন্তু ইবলিশ পৌঁছাইল আদমের মনে
কহিলো, "সব থেকে সঙ্গিনী আগে।
তুমি যদি আল্লার সৃষ্টি— নূরের মধ্যমণি
কেন তবে শোন বাণী?– কেন নাদানি?
তুমি তো আল্লার পেয়ার, খুউব নূরানি
তোমার সবটায় রাজি– মালিক রাব্বানি।
দাও ফল হাওয়ারে, নিজেও খাও
নিষেধ টিসেধ সব– ভুলিয়া যাও।”


ধোঁকাতে হারিয়া গেল বিশ্বস্ত আদম
গন্ধমে হলো শেষ বেহেস্তের জীবন।
হাসিলো ইবলিশ আর ফাটিলো স্বর্গ
ছলনার ফলে তারা ধরনীতে আসিলো।
একজনে আরবে আরেকজনে লংকায়
পৃথিবীর শুরু এভাবে ভুলের অর্চনায়।


সে-ই শুরু বিশ্বাসের প্রথম ভাঙন
শয়তানে পায় মুক্তি জগতে তখন।
সে-ই শুরু ছলনার প্রথম দংশন
দুনিয়ায় যাযাবর হলো স্বর্গের প্রসূন।