So you want to be a writer?
~~~~~~
Charles Bukowski
~~~~~~~~~


যদি লেখালিখি সব কিছু ছাপিয়ে
তোমার ভেতর থেকে না বাহির হয়
এটা করো না।
যতক্ষণ না এটা তোমার অন্তর, চেতনা, মুখ আর নাড়ি ছিঁড়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসছে,
লেখালিখি বাদ দাও।
যদি কম্পিউটারের স্ক্রিনে দীর্ঘক্ষণ
চেয়ে থাকতে হয় অপলক কিংবা
টাইপরাইটারে ঝুঁকে শব্দ খুঁজতে হয়,
লেখালিখি তবে তোমার জন্য নয়।
তুমি যদি এটাকে পয়সার জন্যে
অথবা নাম কামানোর তরে করো
তাহলে এটাকে ছেড়ে দাও।
শয্যাসঙ্গিনী পাবার নেশায় তুমি যদি
লিখে থাকো,
তবে লেখাকে ভুলে যাও।
তুমি যদি তোমার লেখা বারবার
ঘষো-মাজো
তবে লেখালিখি বাদ দাও।
যদি লিখতে তোমার ভাবাভাবি তথা প্রচুর পরিশ্রম করা লাগে,
কখনোই এ কাজ করো না।
যদি অন্যের মত করে লেখার চেষ্টা করো
স্রেফ ভুলে যাও তোমার আকাঙ্ক্ষা।


যদি ভেতরের গর্জনের জন্য তোমার অপেক্ষা
করতে হয়,
তখন ধৈর্য নিয়ে বসো।
যদি তোমার অন্তর্গত ডাক শুনতে না পাও
তবে অন্য কিছু করো।


তুমি যদি প্রথমে এটাকে তোমার স্ত্রী, বান্ধবী, বন্ধু, বাবা-মা অথবা অন্য যেকাউকে
শোনাতে চাও, জেনো লেখালিখির জন্যে
তুমি প্রস্তুত নও।


অন্য লেখকদের মতো হইয়ো না
অন্যান্য স্বঘোষিত লেখকদের মতোও হ'য়ো না
একঘেয়ে নিষ্প্রভ এবং ছলনাশ্রয়ী হইয়ো না এবং ডুবে থেকো না
আত্মপ্রেমে।
পৃথিবীর লাইব্রেরিগুলো তোমার
ধারণার জন্যে ঘুমের জন্যে
হাই তুলছে এমনিতেই
তাদেরকে বাড়িয়ো না আর।
এমনটা হলে লেখার দরকারই নেই তোমার।
রকেটের ন্যায় আত্মা যদি
না বাহির হয়,
পাগলামি, আত্মহত্যা বা খুনের
ভাব যদি দূরে থাকে তবে
লিখিওনা তুমি, দিয়ে দাও বাদ।
সূর্য তোমার অন্ত্রে যতক্ষণ না
করছে দহন,
কোন কিছু লিখোনা, লেখালিখি
অন্য ব্যাপার।


যখন লেখার আসল সময় আসে,
এবং তুমি পছন্দনীয় হও লেখার
এটা স্বয়ংক্রিয় ঘটে যায় আর
ঘটতে থাকে তোমার মৃত্যু অব্দি
অথবা লেখাই মরে যায় তোমার ভেতর।


এছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই।


এবং কখনোই ছিল না।