শুধু তোমার জন্যই ছুটে আসি বার,বার
তুমি কী বোঝ না!
কিন্ত কী করব বলো?
তুমি যে একটি বস্তুু হারাবার।
তাই কাছে যতক্ষন আছ দেখি,
বার বার আলিঙ্গন করি।
আমি জানি তুমি মিছে মায়া,
তবুও মায়া হয়,
মনে ভালবাসা জাগে!
রাত জেগে কবিতা লিখতে ইচ্ছে হয়।
আসলে দোষটাতো তোমার না
কারন আমি জানি
একটি শিশু যখন জন্মায়
তখন সে পবিএ হয়েই জন্মায়
যখন পরিবেশের কড়া হাত তার পিঠে
থাবা মারে
অভাব নামক রোলার যখন
পেটে চেপে বসে।
তখন সে পূর্ব পুরুষের মত টোকাই হয়
না হয় অবৈধ গলির মালিক।
তবুও ত সে পরিশ্রম করে।
আজ আমি উচ্চ কন্ঠে বলব
শুধু তাদের জন্য,শুধু তাদের জন্য
তোমার কষ্টের উপার্জনের নামে যারা
দূর্নাম করে, অসভ্য বলে।
এই রোমান্টিক মহলের অর্থচোষা রমনী
রাস্তায় নেমে শত যুবকের জিম্মি জীবন
নিয়ে খেলা করে।
মনের কেন্দ্র দখল করে যখন চাঁদা বাজি
হয়।
তখন কোথায় থাকে সভ্য সমাজ?
তুমি ত প্রতারনা করো না?
পরিশ্রম করো,নেচে আনন্দ দাও
বিনিময়ে পারিশ্রমিক পাও।
কী নেই তোমার?
রূপ নাকি যৌবন?
তুমিওত নারী!
শুধু অর্থ নেই।
যাদের অর্থ আছে তাদের সৌন্দর্য নেই।
তুমিও যদি কোন সম্ভ্রান্ত বাবার মেয়ে
হতে?
তোমারও থাকত সভ্যতা।
হাতে থাকত আট-দশটা সমাজের লাগাম।
পথের পাশে উলঙ্গ বায়োস্কোপ
দেখালেও
কেউ অসভ্য বলার দুঃসাহস করত না।
ঘৃনা তাদের প্রতি যারা দশতলা
প্রাসাদে বসে
বাড়ির পাশের বস্তির উপর থু,থু ফেলে
আর বলে আহা কী অসভ্য!
আসলে যার দৃষ্টিভঙ্গির ঠিক নেই
সে অসভ্যতার কী বোঝে?
যাক ওসব--
আমার কবিতায় তুমি আছো থাকবে
যদিও তুমি হারিয়ে যাবে।
তবুও ছুটে যাবো তোমার কাছে
যতদিন তুমি পাশে আছো।।