মহাপ্রলয় পরবর্তী কোনো বিকেল—
জলাশয়ের প্রবেশদ্বার পেরিয়ে
প্রকট হুংকারে মেতেছে সংগ্রাম,
ঘৃণার রশ্মি তরঙ্গায়িত হয়ে ছড়িয়েছে
শিক্ষালয় হতে মদ্যপায়ীর আসরে।


খানিক ব্যবধানে বাতায়নের বেষ্টনী হতে
কেউ ছড়াচ্ছে ধবল আলো— দুর্বোধ্য।
শৈলচূড়ায় আসিত এক অর্বাচীন বালিকা,
তার চোখে ঝর্ণাপ্রবাহ—ম্লান।
হলদে বিহঙ্গের শব্দে তার কান্নার উদ্যোগ,
খিলখিল করে হাসে
শেয়ালের সবুজ চোখের পানে চেয়ে।


এই ধরিত্রী, ধরিত্রীর বুকে শিমুল ফুল;
সবই এই অর্বাচীন বালিকার।
সে কি বুঝতে তার চোখের ভাষা?
তার কপোল নদীতে বয়ে চলা অস্বস্তির
ঘামে যে কারো ডিঙি নৌকায় বুনোহাসের
চলাফেরা ঘটে, তা কি সে জানে?
তার চক্ষুগহ্বরের শাখা-প্রশাখার সনে
কারো চোখ সন্ধিবদ্ধ হয়েছে, সে কি জানে?
কেউ একজন
তার নাকের ডগায় নবজাত গুলাবের মত
নাকফুলের নাম দিয়েছে প্রেয়সী,
তার চুলের বিনুনির নৈপুণ্যতা
কারো কাছে ঠেকেছে শরাবের মতন।


শুক্লপক্ষের চন্দ্রের আলোয় একদিন;
এই পৃথিবীতে থাকবে না সেই হলদে পাখি,
হারিয়ে যাবে শেয়ালের সবুজাভ চোখ,
বাতায়নের ধবল আলোকরেখা
নিশ্চিহ্ন হবে,
দিগন্ত ছাড়িয়ে দিগন্ত— সবখানে মরুভূমি।
মরুভূমির মরীচিকায় দৃষ্টিভ্রম হয়ে
সেই অর্বাচীন বালিকার চোখের
জল হয়ে বাঁচার প্রত্যয়ে ছুটছি—
দৃষ্টিবিভ্রম হয়ে এসেছিল সে,
হারিয়ে গেল পুরনো স্বভাবেই।