পূর্ব পুরুষের লাঙলের ফলায় মাটির ঘর্ষণে যে রাগেশ্রী প্রেমের
মৃত্যু হয়েছিল একদিন,
আজ নিষিক্ত মাটির ডাকে সেই প্রেম জেগে ওঠেছে নির্বাণে,
পিতামহের কবরে ছাতিম ফুলের ঘ্রাণে।


তাই শহর ছেড়ে চলে যাবার সময় এসেছে
উর্বর যৌবনে,
রক্তের স্রোতে ভেসে আসছে রাজন্য মৃত্তিকা-
চর দখলের প্রস্ততি চলছে প্রণম্য প্রেমের ময়দানে,
আমি তো কবর খুঁড়ে শাণিত করছি জল্পিত যৌবন;
প্রপিতামহের কবরে উত্থিত প্রাচীন পুঁথির পাতা থেকে
শিখে নেই শহর ছাড়ার মন্ত্র---


এই সর্পিল শহর কেড়ে নিয়েছে আমার সত্যান্বেষী মন,
এই শাপিত শহর কেড়ে নিয়েছে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর ক্রন্দন-
এই শিঙ্ঘিত শহরে উত্তর প্রজন্ম ভুলে গেছে
পিতামহের ঘামের ঘ্রাণ
প্রাণহীন এই শহরে আমাদের সন্তান ভুলে গেছে ভাটিয়ালি গান--
ভুলে গেছে রাখালের বিভোর বাঁশির সুর
ভুলে গেছে রূপালি রৌদ্রে ভরা ক্লান্ত দুপুর


তাই এই শহর ছেড়ে চলে যাব লাঙলের টানে, মাটির গানে,
উন্মুক্ত আকাশ ভরা চিরহরিৎ সবুজ প্রাণে;
আমি চলে যাব পিতামহের কবরে ছাতিম ফুলের ঘ্রাণে
আমি চলে যাব মায়ের কোলে, এই কোলে শুয়ে শুয়ে আমি হারিয়ে
যাব নবান্নে ভরা ঘ্রাণে অঘ্রানে ।