আজকাল আমার হাতের আবাস রেখাগুলো মুছে যাচ্ছে প্রাকৃতিক নিয়মে;
যত্নে রেখো- যে রেখাগুলো তোমার কাছে জমা রেখেছিলাম দুরন্ত কৈশোরে,
সোমেশ্বরী নদীর ধারে কোঁড়া কোঁড়া প্রেম জাগে, কৈরবী
আঁধারে রেখাগুলো মুছে গেলে প্রাচীন ক্ষণদের কষ্ট বেড়ে যাবে বহুগুণ
হাতুড়ে ধরায় যদি বা হারাই মুহুরী ফাগুন-
তাই আমার কররেখায় প্রলেপ দিচ্ছে একদল সোনার বেনেঃ
গুণে গুণে উনিশটি সোনার প্রলেপ ।


গলার মাদুলিতে ভরা তাবিজের তেজ টর্চ লাইটের মতো দেখাচ্ছে পথ-
সুদিনের আশায় মনে জপে মুনি দুর্বাসা ।
আজ তাই মেনে নিচ্ছি মৃত্যুময় বেকুব বেওয়ারিশ লাশের হিসাব-
হয়তো আদম পাহাড়, তার চূড়ার মতো উঁচু
একদল দমবন্ধ দুর্দিন নিয়েছে পিছু
অনাগত দুর্ভিক্ষের আগুন করতলে দিচ্ছে সংকেত, গণকেরা হয়ে গেছে নিরুদ্দেশ
নাকি ধরেছে অন্য কোন নতুন বেশ-


শৈশবে একটি প্রেম রেখা ছিল করতলে, গোপনে চুম্বন দিতাম রেখা বরাবরে
ওটা ছিলো আমার হৃদয় পরাসরে-
এখন রেখাটি জীর্ণ শীর্ণ; করতলে বইছে মৃত্যু-মলয়
ঈশ্বর, জানিনা আমি, তুমি দিয়েছো এ কেমন প্রলয়!