তোমার খুব নিশ্চিন্ত জীবনের স্বপ্ন ছিল,
তোমার স্বপ্নে ঘর ছিল না
শুধু একটা ঠিকানা চেয়েছিলে তুমি।


ভালোবাসাকে তুমি স্বপ্নে ঠাই দাও নি,
তোমার স্বপ্নে মাথা গুঁজে ছিল
শুধু স্বার্থপরের মত ভালো হয়ে বেঁচে থাকা।


তুমি কি খুব ঠকেছ জীবনে ?
তোমারো কি ভালোবাসার সাধ ছিল?
সেদিনকার সেই আগন্তুক কে দেখে তবে
কেন লজ্জাতে লাল হয়ে গেলে?


তারপর, জানি দুঃখের দল আঁচল টেনেছে বারবার
আর পিছুটানের কথা ভেবেই কিনা,
নিষ্পলকে চুমুক দিয়েছ, হেমলকের নীল পেয়ালায়।


পায়ে আলতা না এঁকেও, রক্ত-লাল মেখে
ঘরে ফিরতে তুমি,
সেদিন গুলো ছিল নিষ্ঠুরতম।


পথের ঘাসফুলেও কাঁটা ছিল তখন
গোধূলির আলোতেও ছিল কি অসহ্য উত্তাপ,
দিঘীর কাক্চক্ষু শান্ত জলেও
ঢেউ খেলে যেত তখন।


তোমার আঙিনায় রোদ পোহাত
ক্ষুধার্ত চিল শকুনের দল,
আর তারাই তোমাকেই খুবলে খেয়ে গেছে একদিন।


আর তোমার হুঁশিয়ারি প্রতিটি পদক্ষেপ ই
একেঁ গেছে রক্তিম আলপনা।