সময়ের স্রোতে ভেসে কে জানি ও যায় চলে
         ভাঙ্গা সুর ভেসে ভেসে আসে ,
         জীবনের খেয়াতরী সময়েতে যাই ভাসি ,
         সব পাওয়ার মায়াজাল ভেঙ্গে আসে ।
          হাজার বছরের অভিশাপ বুকে নিয়ে ,
          হেঁটে চলি ইতিহাস সরণি হয়ে অসীমের পারে ।
          দায়বদ্ধতার সব আগল ভাঙ্গা কোনও ছায়াশরীর হয়ে ,
         হয়তোবা মানুষের বেশে ।
          সেই আদিকাল থেকে গান্ধার মগধ হয়ে টিনটাজেল ,
         সিন্ধু থেকে ট্রয় হয়ে হিরোশিমা নাগাসাকি ,
         কাল থেকে মহাকাল সর্বত্র আমার নিশ্চুপ উপস্থিতি ।
         হাজার বছর আগে সরস্বতী নদীর তীরে বসে
          আমি জীবনের গান যেমন গেয়েছি ,
          তেমনি তার লুপ্ত প্রবাহের শুষ্ক গহ্বরে
       মানুষের কঙ্কালও আমি খুঁজেছি ।
       আমি শুনেছি কলিঙ্গ জয়ী অশোকের কান্না ,
        আহত সৈনিকের কানে ।
        আবার বাতাস হয়ে হয়েছি বিষাক্ত  ,
        শহর জোড়া পরমাণু বিস্ফোরণে ।
        আমি ধার্মিক হয়ে বুঝেছি ধর্ম ,
        পেয়েছি শান্তি রেখে মনের গভীরে ।
        আবার চিৎকার করে কেঁদেছি আমি ,
       ধর্মের নামে পাশবিক অত্যাচারের সাক্ষী হয়ে ।
        বছরের পর বছর কাটে ,
         যুগের পরে আসে নুতন যুগ ।
        পুরাতনের ধ্বংসস্তূপ জুড়ে ,
       জেগে ওঠে আবার নতুন সুর ।
        শুধু খেয়ালী মনের উদাসী রাগের ভাষার মতো
       এই আকাশ -বাতাস - নদী –পর্বত- পাখিদের গান হয়ে-
        আমি ছিলাম,আছি,থাকব দেখতে এইপৃথিবীর রূপ ।