পরাণে আমার খেলিছে খেলা বেলা -অবেলা
মায়াবী ভুবন,
প্রথম দরশন।
    সমুদ্রের ঘন শুভ্র ফেনারাশি,
    উত্তাল ঢেউয়ে হাসিছে মধুর হাসি,
তারি সনে তুমি হাসো, মধুর হাসি হাসো -মধুরহাসিনী।


    রবির কিরণে ঝলমলে কুন্তল,
    বালিকা বঁধূর প্রেমে বিহ্বল,
    পড়িয়াছে ছায়া আলোতে তব,
     ছায়ার মাঝে ছায়া হয়ে রব,
রব তব স্বপনে,তুমিও রবে স্বপনে মোর-স্বপ্নযামিনী।


    ভুলিতে পারিনে মধুর মুরতি,
     অন্ধকারে মিলিবে জ্যোতি,
   খোঁপার বাঁধন খুলে দাও,গগনে উড়াও এলোচুল,
   এঁকেছি তোমার মায়া ছবি ওই নদীকূল।
তব মুখ পানে চেয়ে থাকি শুধু কথা না বলে।


    তোমারে শুধাই ওগো দিগবালিকা,
     তুমি  নও অভিসারিকা?
         ভাসিগো পাতায় জলতরঙ্গে,
         ভাসিবে কি তুমি? যাবে সঙ্গে?
একটি পাতায় ভাসিব দুজন প্রেম-যমুনার জলে।


         ফাগুনের দখিনা হিমেল বায়,
         তব দেহখানি মৃদু ছুঁয়ে যায়,
আকাশ ঘন নীল,
উড়িছে সেথায় গাঙচিল,    
ওই সন্ধ্যা সখি ঘনায়ে এলো ডুবিছে তপন দূর পশ্চিমে।


        দেখেছি তোমার আলতা রাঙা চরণখানি,
        তোমারে লব গো বক্ষে টানি,
        রাখিব তোমায় সতত মনে,
       রাখিব তোমায় আকুলি নয়ানে,
তোমার ঘননীলা আঁচলখানি লুটায়ে এসো উদাস গগনকোণে।


       বহু বছর ধরে, সুপ্তি ছিলে গগনপারে,
       নামিয়া এলে কোন সে মায়ায় বসুন্ধরে?
       তোমারে শুধাই ওগো বিদেশিনী,
        বারেক দেখিনু তব মুখখানি,
শুধু নয়নে নয়ন রাখা হলো হলো না 'ক' কথা।


         তুমি নহ বন্দিনী, নহ দাসী,
         তুমি উর্বশী, তুমি উষসী,
ওগো মাধবীলতা,মধ্যদুপুরে তব সাথে মোর এই প্রথম দেখা।