প্রথম যেদিন দেখেছি তোমায় পড়েছি তোমার প্রেমে,
গোধূলি বেলায় মেঠোপথ ধরে চলেছ, বৃষ্টি যখন গেছে থেমে।
       ছোট ছোট গৃহগুলি সখি পশ্চাতে ফেলে;
       পথ ভুলে বুঝি মোর কাছে এলে?
      সন্ধ্যা যে সখি ঘনায়ে এলো সূর্য্যি ডুবি ডুবি,
অস্তপারের ঐ সন্ধ্যাতারায় রাখিনু তসবির তব যত্নে খুবি।


ব্যাকুল হয়ে খুঁজিনু তোমায় পরদিন মোর মানসী প্রিয়া,  
গোপন রাণী হয়ে মোর তুমি রও হৃদয়ে গোপনীয়া।
শ্যামলী মায়ের মেয়ে তুমি ; যেন ইন্দ্রলোকের অপ্সরা,
তোমার রূপেতে রূপসী হলো গো যেন এ বসুন্ধরা।

           ভুলিবনা তোমায় কভু করিনু এই পণ,
    তোমারি মাঝে সখি গো মোর রবে এ জীবন।
    ঘন ঘোর আঁধারে আলো জ্বেলেছ তুমি দ্বীপান্বিতা,
তুমি হও শিরি-ফরহাদ, লাইলি-মজনু অথবা দুখিনী সীতা।
        তোমাতে আমাতে রচিব ধরায় প্রেমের বৃন্দাবন,
সৃজিব নব রাজলীলা স্রষ্টার এ শ্যামলিমা মায়া- ভুবন।


তোমারি রূপ-দীপ্তে ধরণী দীপ্তিময়,
ওলো স্বপ্না, তোমারি প্রেম-ছোঁওয়ায় হবে জীবন মধুর অতিশয়।
মেঘমালার মতন তোমার ঢেউখেলানো এলোকেশ,
রাঙা বধূঁয়ার বেশে লাগিবে তোমায় অতিবেশ।
রয়েছ গোপন তুমি মোর হিয়ার মাঝার,
কাটিব সন্তরণ তুমি ও আমি প্রেমের পাথার।


            ওগো লক্ষ্মী দেবী,
নামিয়া এলে কোন সে মায়ায় ধূলির পৃথিবী?
কোন সুরে সখি তুমি বাজায়ে যাওগো বীণা?
তোমার সনে হবে গো প্রেম মোর লেনাদেনা
এই ধরণী মাঝার! চিত্তকাড়া তব ডাগর দুটি আঁখি,
বাংলাদেশের তুমি যেন ফের সে "দীওয়ানে হাফিজ" সাকি!  
নূতন সুরে তুমি কবি হাফিজের গজল গাওয়া,
চিত্তহরণ করে মোর তোমার ও- সুকরুণ চাওয়া।
জগতের মাঝে তুমি প্রিয়া নব নূরজাহান,
বসুধা বক্ষে দাও গো সঁপে প্রেম মোরে অয়ি গুলশান।
এ যুগের তুমি যেন দেবী অন্নপূর্ণা,
হেরিয়া তোমার শ্রীমুখখানি মেটাই প্রবল তৃষ্ণা।    


বি.দ্র: আমার এ কবিতাটি আমি যখন ইন্টারমিডিয়েট দ্বিতীয় বর্ষে পড়তাম তখন রচনা করি। একটি মেয়েকে গোধূলি বেলায় হঠাৎ সবুজ মাঠে দেখার পর তাকে নিয়ে এ কবিতাটি রচনায় হাত দিই।