একদিন আমি চলে যাবো খুব অভিমানে সুদূর আকাশে,
আর কভু ফিরব না, যাবই চলে না ফেরারি দেশে খুব হতাশে।
       বুকে লয়ে শত তীব্র ক্ষোভ-অভিমান,
       আমি পাড়ি দেব অকস্মাৎ দূর আসমান।
খুব আফসোসে হয়তোবা ঝরাবে দু'একফোঁটা আঁখি জল।


    আর নাহি কভু বাজিবে নিশীথে প্রেমের বাঁশি,
    আর কভু দেখিবে না কবির অধরে মৃদু হাসি!  
    ভাঙাবেনা কবি তোমাদের আর কাঁচা ঘুম!  
    ঘুমিয়ে যাবে অভিমানী কবি দিয়ে মৃত্যুকে চুৃম!  
হয়তোবা রব দূর নভে, হয়তোবা রব সাগর অতল।


বাতায়ন খুলে লভিতাম স্নিগ্ধ সমীরণ প্রভাতে যে তরুর,    
রবে হয়তোবা সে ঠিক যুগ-যুগান্তর স্থির! শুধু আমি রব দূর।
তারকাগুলি রবে আগের মতন,পূর্বের ন্যায় দিবে স্নিগ্ধ আলো,
মুদিব আমি চিরতরে নয়ন দুহু, ছেয়ে যাবে মোর জীবন কালো।
মুছিবে তোমরা আঁখিবারি আমার বিদায়ে দিয়ে স্ব স্ব আঁচল।    


শ্রাবণ আকাশে উড়িবে সাদা মেঘ, ঝরিবে বাদল ঘন তমাল বনে,
আঁকিবে দিগন্তে রামধনু বাদল শেষে ; চেয়ে রবে আনমনে।
ফুটিবে কদমগুচ্ছ তরু শাখে শাওনের মৃদু পরশে,
নাচিবে ময়ূরী বন-বিথীকায় বারিষ সনে খুব হরষে।
দখিনা হিমেল হাওয়ায় গুলবাগে ঝরিবে বৃষ্টি অবিরল।


ডাকিবে বসন্ত-কোকিল ঝোপে কুহুকুহু গান,
সে গানের সুরে জুড়াইবে তখন প্রাণ।
শুনিবে মাঝরাতে রাখালিয়ার মধুর বাঁশরীর সুর,
দেখিবে চেয়ে কোন এক প্রভাতে নীল নভ আঁখি যায় যতদূর।
দেখে দেখে প্রকৃতির রূপ জুড়াইবে আঁখি, হইবে হৃদয় উতল।
  
গাহিবে না গান আর বিরহী সৈকত সাঁঝের বেলায়,
পাড়ি দিবে না ফেরারি দেশে এক সন্ধ্যে খুব অবহেলায়!  
তোমাদের স্মৃতি-ডায়েরিতে রব পড়ে অন্তিম এক কোণে ;
অনাদরে রব ক্ষয় অবধি! ঝরাবে আঁখিবারি মধ্য রাতে গান শুনে।
সেদিন হয়তোবা ঝরাইবে খুব বেদনায় তোমাদের আঁখিজল।