অন্ধকারে বিড়ালের চোখের মতো
তোমার স্মৃতিরা এখনো জ্বলজ্বল করে ।
জ্বলজ্বল করে পাতার ঠোঁটে আলোকোজ্জ্বল
শিশির ফোঁটার মতো তোমার হাসিরা।
কিন্তু পরক্ষণেই
স্থির জলের নীরবতা ভাঙা বুদবুদের মতো
বুকের ভেতরটা একটা মোচড় দিয়ে ওঠে।
আর একটা বুনো দীর্ঘশ্বাস
চামচিকার মতো চক্কর কাটে ।
ভেবেছিলাম
সারাদিনের ব্যস্ততা ,যান্ত্রিকতা ,
অবসন্নতা কিংবা ধুলো ধোঁয়া
কোলাহলের জঙ্গল পেরিয়ে
তোমার কাছে এসে; তোমার প্রাণের
প্রদীপ ছুঁয়ে আবিষ্কার করবো সুখের জিন ।
খুঁজে নেবো ক্লান্তির মাটি ফুঁড়ে
গাছের শেকড়ের মতো একটু একটু করে
খুশির জল । আর
অবসরের পিঠে হেলান দিয়ে
তোমায় পড়ে শোনাবো হৃদয়ের ডাকঘরে
জমে থাকা - কতো না বলা কথার চিঠি।
অথচ দ্যাখো আজ সব ইচ্ছেরা উবে গেছে
কর্পূরের মতো । মিলিয়ে গেছে
হাওয়ায় হাওয়ায়।
কাগজের নৌকার মতো ডুবে গেছে স্বপ্নরা
ভুল বোঝাবুঝির স্রোতে।
তুমি অবিশ্বাসের লাটাই-এ গুটিয়ে নিলে
সব সম্পর্কের সুতো । ধৈর্যের গ্রিল ভেঙে
বের করে আনলে বিচ্ছেদের বাক্স।
টানলে ভালোবাসার সিঁড়িতে
গাঢ় অভিযোগের নীল তুলি।
এখন আমি আমারই দুটি চোখের জলে
জীবনের জ্যামিতি আঁকি । হয়তো দুটি বৃত্ত
কোনো দিন এক হবে আবারও।