এখন কেশর গজানো রাত!
দুশ্চিন্তারা আঁকচিরা কাটছে ঘুমদের পিঠে।    
জেগে আছি যেন একলা ঘরের হৃৎপিণ্ড হয়ে ।  
মাঝে মাঝে বেগুন পোড়ার মতো কালশিটে
ক্যাঁকসেদ্ধ হৃদয়ে আঙুল গাঁথছে বেকারত্বের যন্ত্রণা ।
ছটফট করছি টিকটিকির কাটা লেজের মতো ।
বালিশে পুঁতছি অশ্রুর বীজ ।
দেখি প্রিয় স্বপ্ন গাছটার উপর সারি বেঁধে
বসে আছে এক ঝাঁক হতাশার প্যাঁচা।
যাকে ঘিরে শত নিরাশার জোনাকিদের চলছে
অবাধ ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা।


আমি ছাদে গিয়ে দাঁড়াই
ভেসে আসে চারিপাশ থেকে কুকুর-শেয়ালের
চিৎকারের লিপি। যারা কিনা ছিঁড়ে খেতে চাইছে
ল্যাম্পপোস্টের বুকে ঝুলতে থাকা
সব আলোর সার্টিফিকেট । তাদের সাথে বাদুড়েরাও
সস্তা দরে কিনে নিতে চাইছে ঝিঁঝিঁ পোকার শরীর।


আমি কান্না মুছি !
আকাশে তাকাই । দেখি মেঘের কারাগার ভেঙে
ধীরে ধীরে চাঁদ উঠছে ...
আর তখনই মনকে বোঝাই-  
একদিন আমিও বেকারত্বের কারাগার থেকে বেরিয়ে
সাফল্যের আকাশে সুখের নক্ষত্র কুচিদের সাথে
বাঁধব ঘর।