লোকটির ডান পা নেই! ভিক্ষা করে।  
লোকাল ট্রেনের প্রথম কামরায়
উঠতেই; কিছুজন সহানুভূতিতে এগিয়ে  
দিলো কয়েকটা কয়েন ।
দ্বিতীয় কামরা থেকে একই ভাবে
সে পেল এক-দু টাকা ।    
তৃতীয় কামরা থেকে পাঁচ কিংবা ছয় ।


এই ভাবে ঘড়ির কাঁটার মতো
দিনের আবর্তনে ঘুরে ফিরে  
তার হয়ে যায় আশি-একশো রোজ ।  


অথচ আধপেটা খেয়ে দিনের শেষে
সে বাড়ি নিয়ে যায় চাল-ডাল-নুন
আর কিছুটা কেরোসিন ।  

যে কেরোসিনের আলোয় পড়াশোনা করে
     তার ছোট্ট বিদ্যাসাগর ।


               ******