**আমার পাতায় আপনাকে স্বাগতম **
আজ বিকেলে প্রায় দু বছর পর আমার এক বন্ধুর সাথে দেখা হলো, তাই তার সাথে দেখা হবার কিছু অনুভূতি প্রকাশ করলাম।
-----------------------------------------------------------
আদ্যোপান্ত কবিতা মুখস্থ থাকার মতো তোকেও এখনো মুখস্থ পাই
সেভাবেই মনের ভেতর; যে ভাবে পেতাম কলেজের দিন গুলিতে।
আমার কবিতার খাতার তখনো চোখ ফোটে নি
কলমের কালির কাজল তাই অনেক দূরেই ছিলও ...
তোর নামটা লিখে রেখে ছিলাম হৃদয়ের বন্ধুত্বের পাতায়।
আজ অপ্রত্যাশিত মেঘ থেকে বৃষ্টির সাথে শিল পড়া দেখার মতো
দু বছর পর তোর সাথে আমার দেখা!
হঠাৎ খুশিতে সবুজ ঘাসের মতো ভিজে গেলাম জেনো দুজনেই।
আমাদের আঙুল অপেক্ষা না করেই জড়িয়ে ধরলো পরস্পরকে
আলতো উষ্ণতায় জেনো পেলাম আকণ্ঠ তৃপ্তির স্বাদ।
আমাদের দুটি চোখ আমাদেরই কিছুটা গজিয়ে যাওয়া শরীরের মাংস
গুলোকে চিনলও নতুন করে। আর পুঞ্জীভূত
অনুভূতিরা জেনো দল বেঁধে ঝরে পড়লো মুখের আগল খুলে
নানা বর্ণের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা হয়ে ঠোঁটের কোল ঘেঁসে...
কি রে কেমন আছিস? কি করছিস এখন ? এসব থেকে শুরু করে
স্মৃতির পাহাড় পর্বত সাগর সমতল আকাশ বিচরণ হয়ে গেলো
এক সাথে এক নিমিষে মনের ডানা মেলে।
''কতো দিনের অপেক্ষা নিয়ে জেনো মন দিন যাপন করছিলো
কতো কিছুরই অনুসন্ধিৎসায়''...
কলেজের পর আর দেখা নেই,
ব্যস্ততার কাঁধে হাত রেখে আজ আমরা যে যার মতো হাঁটছি।
শরীরে সময়ের ছাপও প্রাচীন হচ্ছে ধীরে ধীরে,
আমদের দূরত্বের পরিস্থিতি বুকের চৌকাঠ'টা হয়তো ভাসায় না আর
আগের মতো সে ভাবে টুকরো হাসি ঠাট্টার সুখের বন্যাতে।
বলেনা বেপরোয়া হাওয়া হয়ে সম বয়সী প্রেমের বাজী লড়তে।
তবু বন্ধুত্বের মুহূর্তদের শরীরের স্বাদ ভোলা কি যায়?
রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে অন্ততও একবার রোজ ঘুরে আসি
সে সব অনুভবের অরণ্য।
ব্যস্ততার জালে আজ আমরা আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা
এক বন্দর থেকে অন্য এক বন্দরে নোঙর ফেলেছি যে যার;
তোকেও চলে যেতে হবে তোর বন্দরে
আমাকেও আমার বন্দরে .....
সময়ের সাথে দূরত্বের হাত ধরে পরিবর্তন স্বাভাবিক!
তবে বদলায় না বন্ধুত্ব, কমে না তার টান সে যত দূরেই থাকুক।
সে যে বাজে নানা সুরে মনের একলা কোণে কোণে।
সে যে কথা বলে নীরবতার ভিড়ে হাজার আলোর ঝর্ণা ধারা স্রোতের মতন,
তাই হৃদয়ের স্মৃতির ঝিনুকে বন্ধুত্ব মুক্তোর মতোই জ্বলে চিরদিন।
****