সহস্র বছর ধরে শ্রমজীবী হাওয়ারা
হাঁটতে হাঁটতে আজ বড়ই ক্লান্ত !  
ক্লান্তি মোছার জন্য; এক টুকরো  
স্বস্তি পাওয়ার জন্য তারা অন্বেষণ করে চলেছে  
একটু খানি শীতল ছায়ার।  
কিন্তু আজ যে কোথাও ছায়া নেই;  
ছায়া দেবার মতো কোথাও দরদি গাছও নেই ।
সব শুকিয়ে গেছে
সব শুকিয়ে গেছে স্বার্থ বাদের যুবক রোদে।
চারিপাশ রুক্ষ শুষ্ক ধু ধু মরুময় ।
তবে যে কটি গাছ কোনও রকমে  
তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে
সে গুলোও শিরদাঁড়া বাঁকিয়ে ঝুঁকে পড়ছে
বিপন্নতার বোতাম খোলা বুকে।  
নতুন করে আর কোনও বীজও অঙ্কুরিত হয়নি।  
বৃষ্টি নেই ! প্রেরণা নেই!
সবুজ ভালোবাসার সরসতা পর্যন্ত নেই কোথাও।    


তবে এ পরিবেশের সাথে আজ শুধুই খাপ খাইয়ে
মাথা তুলে বেঁচে আছে দ্বিচারিতা বোধের ক্যাকটাস!
যারাই একতার মাটিতে বিভেদের মূল ছড়িয়ে;    
আঁকড়ে ধরে করছে স্বতঃস্ফূর্ততায় বংশ বিস্তার।
যাদের কাছে রাখা আছে শ্রমজীবী হাওয়াদের জন্য
শুধুই সুচালো ফলার মতো অপমানের কাঁটা।  
রাখা আছে লাঞ্ছনার শানিত করাত।


হাওয়াদের বুকে আজ দৌর্মনস্যে ভরা কটাল ;
চোখের কোণে টাটকা শিশির বিন্দু,  
মনের দিগন্ত রেখায় স্বপ্ন অবক্ষয়ের সূর্যোদয়।
প্রাণের কোঠরেও নেই
এক আঁচড় বেঁচে থাকার সজীবতা।  
ধুঁকে মরতে মরতে সবার মতো
ওরাও আজ বুঝে গেছে
এ শুধু জলবায়ুর পরিবর্তন  
চরম জলবায়ুর পরিবর্তন;  
ভোগবাদী জলবায়ু পৃথিবীকে করে ফেলেছে গ্রাস।  


         ************