কাল অবধি হরিণটা খেলত
ঘুরে বেড়াত সমতল জুড়ে ইচ্ছে খুশি।
কখনো আবার তার চলার পথে
কেউ বাঁধা দিলে সে তেড়ে ফুঁড়েও আসত
আঁকাবাঁকা শিং উঁচিয়ে।
এমন কি নেকড়েদের সব পরিকল্পনার
ফাঁদ এড়িয়ে, ভয়-ডর অগ্রাহ্য করে
বেশ ছিলও আপন স্বচ্ছন্দে স্বতন্ত্র।
কিন্তু আজ সে হরিণকে সর্বক্ষণ
তাড়িয়ে বেড়ায় চিতাদের নিশ্বাস!
ছিঁড়ে খায় হায়নাদের হুংকার।
সুযোগ পেলেই-
তার ঘাড়ের পাশ দিয়ে থাবা চালিয়ে
তারা কেটে দেয় গলার নলি..
আর তখন কান্নার জীবন্ত স্রোত
দু'চোখে রেখে; যন্ত্রণায় ছটফট
করতে করতে মারা যায় রক্তাক্ত সে হরিণ।
যে মৃত হরিণটার নাম- 'বাক স্বাধীনতা।'