এই নাও গুরু এক লাখ টাকা! বস অ্যাডভান্স দিয়েছে।
কাল ঠিক সময় মতো মাল পৌঁছে যাওয়া চাই।  
বলেই গুরুর পকেটে টাকা'টা দিলো চেলা ।
সঙ্গে সঙ্গে গুরু সে টাকা পকেট থেকে  
বের করে, মেঝেতে ফেলে দিয়ে  
বিরক্তির সুরে বলছে-  
ধ্যাত.....


এই কে আছিস রে দু'বোতল হুইস্কি দিয়ে যা তো !
একটু পরেই গুরু-চেলার সামনে টেবিলের উপর
দুটো বোতল এসে বসিয়ে দিলো বেয়ারা।    
সঙ্গে সঙ্গে গুরু বাম হাত দিয়ে
সে বোতল ঠেলে নিচে ফেলে  
রাগি কণ্ঠে বলছে-
ধ্যাত.....
  
আচ্ছা বেশ এই নাও গুরু একটু কোকেন খাও।    
বলেই বুক পকেট থেকে প্যাকেট বের করে
হাতের মধ্য গুঁজে দিলো তার চেলা।    
কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে গুরু জানালা দিয়ে
তা ঢিল ছোঁড়ার মত ছুঁড়ে ফেলে
অশান্ত হয়ে বলছে -
ধ্যাত.....


গুরু তুমি কি ষাট কেজি 'সবুজ মাংস' খুঁজছো?  
পাশের ঘরে রাখা আছে কিন্তু; খেতে পারো।  
আসতে করে মুখ এগিয়ে বলল চেলা।  
সঙ্গে সঙ্গে গুরু চেলারই বাম গালে  
একটা থাপ্পড় জোরে লেপটে দিয়ে
তার দিকে তাকিয়ে বলছে -
ধ্যাত.....


আচ্ছা গুরু আজ তোমার কি হয়েছে বলো তো ?
এমন করে রেগে আছো কেনো? কি চাও ?  
গুরু আগুন মাখা উষ্ণ চোখে তখন বলছে-
মুণ্ডু........................কাটা মুণ্ডু চাই!!      
যে এতদিন আমাদের ভুল পথে
চালিত করেছে। সেই বসের  
কাটা মুণ্ডু চাই ।


আমাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে একের পর এক
কুকর্ম করিয়ে নিয়েছে যে আমাদের দিয়ে,    
আমি আজ তারই মাথা চাই। এ নরকের
খোলস ভেঙে নতুন প্রাণে বাঁচতে চাই।  
মানুষকে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে নয়,  
ভালবাসা দিয়ে জয় করতে চাই।  
মানুষ হতে চাই ।


চেলাও পিঠ থেকে ভোজালি, পকেট থেকে বন্দুক  
বের করে;  টেবিলের উপর রাখতে রাখতে  
তখনই বলছে- আর নয় !! চলো বসেরই  
গর্দানটা ধড় থেকে আজ আলাদা করে
গঙ্গা স্নানে যাই। অসহায় মানুষের
হাত ধরি, তাদের পাশে দাঁড়াই,
চলো এবার থেকে।


         ********