তুমি বলেছিলে জেগে ওঠো ! জ্বলে উঠো!
বুকে বিদ্রোহের বারুদ মেখে জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও
সব অরাজকতার অরণ্য। ছাই করে দাও স্বৈরতন্ত্রের শরীর !
বিস্ফোরিত হয়ে উড়িয়ে দাও যত অন্যায়ের ঘাঁটি; আর সব
ষড়যন্ত্রের ইট পাথর সরিয়ে প্রস্তুত করো ভালোবাসার জমিন;
পোঁতো পৃথিবীর বুকে শান্তির বীজ ।  
অথচ আমরা ভীরুতার একগলা জলে ডুবে দাঁড়িয়ে আছি
ভেজা দেশলাই কাঠি হয়ে ।  


তুমি বলেছিলে সব ভেঙে দাও! গুঁড়িয়ে দাও!  
সাহসিকতার হাতুড়ি মেরে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দাও বিভেদের প্রাচীর।
কেটে কুচি কুচি করে দাও হিংসার হা-পা-ধড়-গর্দান। কপালে  
লাল রক্তে তিলক টেনে অভব্যতার করব দিয়ে তার উপর
গড়ে তোলো সমতার বসতি, উড়াও চারিপাশে স্বস্তির কবুতর।
অথচ আমরা উদাসীনতার খাপের মধ্য সেঁধিয়ে আছি  
মরিচে ধরা তলোয়ার হয়ে ।

তুমি বলেছিলে দলে দাও! পিষে দাও!  
চোয়াল শক্ত করে দ্রুত পায়ে মাড়িয়ে যাও যত অশ্লীলতার ঘাস।  
সমূলে উপড়ে দাও অপসংস্কৃতির আগাছা । হড়পা বানের মতো
ক্ষিপ্র গতিতে ধুইয়ে নিয়ে যাও পুঁজিবাদের মাটি; আর সমন্বয়ের
শাণিত করাতে বৈষম্যতার ডালপালা ছেঁটে সব সাফ করে দাও,
পথ করে নাও নিশ্চিন্ততার রোদ্দুর আগমনের।
অথচ আমরা জড়তার শিকল গলায় বেঁধে দাঁড়িয়ে আছি
নিজেরাই নিজেদের কাছে পোষা অবলা জীব হয়ে ।  


আর সে জন্যই হয়তো আজ আমরা সহজে হজম করে নিতে পারি-  
দিন-দুপুরে খুন হওয়া আমাদের প্রতিবেশীর বীভৎস দেহকে!  
রাত-দুপুরে ধর্ষিত হওয়া আমাদের বোনের কান্নাকে !
বুলেট বিদ্ধ ভাইয়ের অসহনীয় আর্তনাদকে!!  


      
            ********