আমি কতবার বাঁশের হাতল ধরে
ঝুলতে ঝুলতে কবিতার কথা ভেবেছি।
আমি কতবার রাস্তা পার হতে হতে
ডানদিক বাঁদিক ছেড়ে শুধু কবিতার কথা ভেবেছি।
আমি কতবার ওর শরীর ছুঁয়ে কবিতা ভেবেছি
কতবার, অন্ধকারের মধ্যে কবিতার গন্ধ খুঁজেছি।
এখন তুমি বলতে চাও
হে দুরবধ্য কবি
তুমি যা লেখো, আজ বুঝলাম সব কল্পনা
তোমার অভিযোগ কিছুটা হলেও সত্যি।
আমি রামধেনুর কথা লিখেছি
তুমি বৃষ্টি চেয়েছিলে গ্রীষ্মের দুরন্ত দুপুরে।
বসন্তের কোকিল দেখেছিল তুমি একটু আগুন খুঁজেছিলে উষ্ণতার জন্য।
আমি অবুঝ কাল বৈশাখীর ধ্বংসলীলা খুঁজি।
হলুদ বসন্তে তোমার মনটা ভালো তো !
তবে যাইহোক তুমি যা ঘেমে উঠুক আমার কবিতা।
সবুজ মশারীর তলায় সামাজিক স্বপ্নে
আছড়ে পড়ুক এক একটা স্বপ্ন।
প্রত্যেক সকালে চারটে যুবক যুবিকা পাগল বলুক আমায়
রাগ নেই.. সে পাগলামো তো তোমার জন্যই।
অথবা, না হয় একটু কল্পনা করি,
একটু খানি হাওয়া দিলে বিকেল বেলায়
একটু খানি কোকিল ডাকলো কুহু কুহু রবে।
একটুখানি রামধনু,
আলো করলো পশ্চিম আকাশ।
তোমার সেই না বলা কথামালায় পাগল হলাম আমি!
যদিও সে তো তোমার জন্যেই।