যখন চোখে চোখে কথা হয়,
পৃথিবীটা যেনো থমকে দাঁড়ায়।
সময়গুলো অপেক্ষার কাতারে বন্দী থাকে।
আর প্রকৃতির স্বভাব ওই কথায় হারায়।


নয়নের ভাষায় ফুটে ওঠা ওই চিত্র,
কৌতূহলের ছায়াকে নিভৃতে আমন্ত্রণ জানায়।
ক্ষণিক মুহুর্তের থমকে দাঁড়ানো সত্ত্বাকে,
চিরকাল উদযাপনের উপমা বানায়।


গগনচারীরা বৃক্ষের পল্লবে স্থির থেকে,
গান গেয়ে নিজ আনন্দে ডানা উড়ায়।
মহাসমুদ্রে ডুবে থাকা চিরনবীন প্রাণীকুল,
আচমকা জমিনের দিকেই নিজের পথ ঘুরায়।


নদীতে বহমান পানির স্রোত বিপরীতমুখী হয়ে,
অগ্নিরশ্মীর সাথে মিলতে ছুটে যায়।
বাঘের গর্জনে হরিণ বেরিয়ে এসে,
তার সম্মানে তাক লাগানো নিজ গতি বদলায়।


সূর্যের শিখা নিজ স্থলে থেকেই,
জলাধারের মধ্যে নিমিষে নিজেকে ডুবায়।
আসমানে ভেসে থাকা উড়ন্ত মেঘগুলি,
ভিনগ্রহের দিকে আকস্মিক দোল খায়।


যখন চোখ থেকে চোখ সরে যায়,
পৃথিবী আবার তার আপন রূপ ফিরে পায়।
সময় আর থমকে থাকে না প্রতীক্ষার কাতারে।
প্রকৃতি তার স্বীয় মহিমায় নিজেকে নিয়ে যায় ।