শুক্রবার — আরশের দিগন্তে এক নূরানী রশ্মি,
যেন জান্নাতি সুবাসে ভরা, রহমতের চশ্মি।
এই দিনের মাহাত্ম্যে আলোকিত ফেরেশতার পাখা,
মুসলিম হৃদয়ে জাগে তখন তাকওয়া ও সিদক-এর ফাঁকা।
আদম (আ.) জন্মেন এই পুণ্য দিবসে,
জান্নাত হতে বিচ্যুতও হন এ স্বর্গীয় নিশিতে।
নবীজী (সা.) বলেন: "শ্রেষ্ঠ দিন এই জুমারই নাম,"
(সহীহ মুসলিমে বর্ণিত) — এতে লুকায় রহমতের দাম।
সূরা কাহফে রয়েছে নূরের বর্ম,
পাঠে জ্বলুক দুই জুমার মাঝে তাওহিদের ধর্ম।
যে পাঠ করে একাগ্র চিত্তে এই পূণ্য সুরা,
সে হবে নিরাপদ দাজ্জালের ভ্রান্ত তুফানে পাড়া।
জুমার দিনে এক ক্ষণ রয়েছে বিশেষ সুমহান,
যে দো‘আ করুক — কবুল হবে সেই প্রার্থনাকথান।
(সহীহ বোখারী ও মুসলিম — হাদীসের ভাষ্য),
রহমতের দরজা খোলে তারই আশায়।
প্রিয় রাসূল (সা.) বলেন: “আমার উপর দুরুদ পড়ো বেশি,”
ফেরেশতারা নেয় তা আল্লাহর দরবারে আনন্তর বাশি।
“ইন্নাল্লাহা ওয়া মালায়িকাতাহু…” — আয়াতে দিও মনোযোগ,
এই দিনে দুরুদ — আত্মার প্রকৃত পাথেয় ও নিখুঁত প্রয়োজন।
হে বিশ্বাসী, জুমার সালাত করো না অবহেলা,
তিনবার যে তা ফেলে, তার অন্তর হয় মোহর-আবৃত মেলা।
(সহীহ মুসলিমে আছে এই সতর্ক ঘোষণা),
নাজাত পেতে চাইলে — নিঃস্বার্থ হও এই খুশির দিনে আমরা।
জুমা শুধু নাম নয় — এ এক ঈমানের মশাল,
পাপ মোছে, দ্বীন জাগায়, হৃদয়ে ছড়ায় হালাল।
এই দিনে নবী (সা.)’র উম্মত — যেন খুঁজে জান্নাতের ঠিকানা,
তাওবার অশ্রুতে ধুয়ে যাক গোনাহর পুরনো বিবরণখানা।