*  দোতলা বাড়ি *


কেন জানিনা! এই দোতলা বাড়িটা
আমার চোখ কেড়ে নেয়।
না ছিল এর সুন্দর ডিজাইন, না এটা খুব কুৎসিত
                      তবে!
স্পষ্ট করে দেখিনি, চোখে আবছা ভাসে
           আজ‌ও সেই দিনটা।
শরতের সাদাকালো মেঘের টুকরোগুলো
ভালোবাসায় চুম্বন করছিল এই বাড়ির উপর।
দূর্গার রুপে এক হরিণী নেত্রী আমার নজর কেড়েছিল।
জানিনা কোন আগমনীকে ওই মায়ারুপী ডাকছিল
শাড়ির আঁচল হাওয়ায় ভাসিয়ে, অবিরাম নেচে চলেছিল।
যেমনটি বাংলার মেয়ের পুলকিত বদন
যখন সে তাঁর বাপের বাড়ি ফেরে।


বাতাসে নুপুরের আওয়াজের ধ্বনি, আমার
কানে পৌঁছানোর সাথে সাথে,আমি থমকে দাঁড়াই।
হঠাৎ বৃষ্টির সেই শাড়ির আঁচলকে সিক্ত করে দেয়
          আমার দৃষ্টি আর‌ও ঘন হয়।
আমি উঁকি মারি; আমার ভেজা শরীরে
দেখতে চায় সেই ভেজা শরীর।


বৃষ্টির বেগ বাড়ে; ওই ভেজা শরীরের
বৃষ্টির গাত্র ধোয়ার বাতাসকে সুরভিত করে
তুলেছিল; আর আমার চোখকে সুরঞ্জিত।


গিহীন কেশরারাশি থেকে টুপটুপ করে জল পড়ছিল, অনবরত এই ছাদে।
আমি ভারসাম্য হারিয়ে, পড়ে গিয়েছিলাম পরিখার খাদে।
অপ্সরার নাচকেও হারমানিয়েছিল ওই নৃত্য
লোভ সামলাতে না পেরে, আবার‌ও সবে ঘনীভূত মেঘ; ভালোবাসার ছোঁয়া দিতে ওই গায়ে আঁছড়ে পড়েছিল।


মেঘগুলো জ্বলছিল, আমার ওই রুপের দৃশ্য দেখার প্রতি
গুরুম গুরুম... আওয়াজ করে, আমায় বলছিল নিজ ঘরে ফিরতে।


                       স্বাভাবিক
ওই রুপে! প্রকৃতিও ঈর্ষায় ভোগে, আমিতো তার কাছে শিশু।
তাই ছোট বলে ফিরতে হল ওই দিন।।


                     *সজীব পাল*